সর্বশেষ
প্রচ্ছদ / মতামত / করোনাকালে নাগরিক ভাবনা

করোনাকালে নাগরিক ভাবনা

– শেখ জহির উদ্দিন

পিছু ছাড়ছেনা করোনা ভাইরাস, ভাইরাসের পরীক্ষা, কোয়ারেন্টাইন, লকডাউন, আইসোলেশন, রেডজোন, ভ্যান্টিলেশন, অক্সিজেন, প্রশাসনিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সঙ্গে স্বাস্থ্যদপ্তর ও মন্ত্রী সকল বিষয়ের সমালোচনা-বির্তক। জীবন-জীবিকা, ত্রাণ তৎপরতা, গার্মেন্টস, অফিস-আদালত, সাধারণ বাণিজ্যিক কর্মযজ্ঞ, নাগরিক জীবনের প্রাত্যেহিক টানাপোড়ন, লোভ-লালসা, সীমাহীন দুর্ভোগ ইত্যাদি প্রত্যক্ষ করে চলেছি প্রতিনিয়ত। এর কোনোটা কঠিন বাস্তবতার কারণে, বাকিটুকু কর্তৃপক্ষীয় হঠকারী সিদ্ধান্তের ফলশ্রুতি। কমছে না নাগরিক জীবনের দুর্ভোগ।

করোনা পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর নিয়মিত বুলেটিন প্রদান করছে। বিভিন্ন মাত্রার তথ্য সরবরাহে কোনোদিন মৃত্যু বেশী তো আক্রান্ত কম, আবার অন্যদিন উল্টো। এ যেন সেই তৈলাক্ত বাঁশে বানর চড়ার কাহিনী। জেলা-উপজেলা ভিত্তিক কোনো তথ্য-উপাত্ত নেই আর বিভাগীয় ভিত্তিক প্রদেয় তথ্য নিয়ে সাধারণের কোনো স্বচ্ছ ধারণা নেই। ফলে এ বিষয়ে আস্থার ক্ষেত্রটি কোনো দিনই সৃষ্টি হয়নি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর প্রতিদিন গ্রাহক ফোন গ্রহণ করছে প্রায় ২ লক্ষ, মিনিটে ১২০ থেকে ১৪০টি, হান্টিং সিষ্টেমে ফোনকল গ্রহণ করলেও গ্রাহক সেবায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সক্ষমতার প্রশ্নটি থাকছেই। প্রায় ২ লক্ষ ফোনকল গ্রহণ করলেও বর্তমানে পরীক্ষা হচ্ছে ১২ হতে ১৫ হাজার, স্স্বচ্ছতার জায়গায় এর কোনো সদোত্তর নেই।

করোনা কালের প্রথম থেকে অদ্যবধি স্বাস্থ্য বিভাগের বিরুদ্ধে সমন্বয় হীনতার অভিযোগ উঠেই চলেছে। যদিও রেডজোন আখ্যায়িত পূর্ব রাজা বাজার ও রায়ের বাজার এলাকার নির্ধারিত অংশে পর্যায়ক্রমে ২১ দিন ব্যাপী পরীক্ষামূলক লকডাউন অতিক্রম করেছে। তবে, এতে জাতির মননে স্বস্তির প্রভাব খুব পড়েছে বলে মনে হয়নি। করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের দীর্ঘ সময়ে একের পর এক দুঃসময় দেখা দিলেও সরকারী পর্যায়ে জনগণের জন্য আশার কথা, ভরসার জায়গা খুব একটা পরিলক্ষিত হচ্ছে না। জনগণের কথিত বন্ধু বিশাল বিশাল রাজনৈতিক দল, জনপ্রতিনিধি, মাননীয় সাংসদ, সরকারের মন্ত্রী পরিষদকে করোনা মোকাবেলায় আশাপ্রদ ভূমিকা রাখতে তেমন ভাবে দেখা যায়নি।

একমাত্র মাঠ পর্যায়ের সরকারের আস্থা ভাজন প্রশাসন যন্ত্রকে বিশেষভাবে ভূমিকা রাখতে দেখা গেছে। কিছু কিছু বিতর্কিত ভূমিকাকে ছাড় দিলে দেশের সর্বস্তরের চিকিৎসা কর্মী, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, সংবাদকর্মীরা নানান ঝুঁকির মধ্যে মাঠ পর্যায়ে অকাতরে কাজ করে চলেছেন। এমনকি তাঁদের মধ্যে অনেকেই হয় নিজে বা তাঁদের পরিবার সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন আবার বহুজনের মৃত্যুও ঘঠছে। ত্যাগ ও শ্রমের স্বীকৃতি স্বরূপ জাতি এদেরকে ফ্রন্টলাইন যোদ্ধা আখ্যায়িত করে, প্রতিনিয়ত করতালির মাধ্যমে অভিনন্দিত ও সম্মানিত করা হচ্ছে। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের র‍্যাপিড কিট ও গ্লোবের ভ্যাকসিন উদ্ভাবন, এ সময়ের মধ্যে দু’টি অন্যন্য সংযোজন। যদিও র‍্যাপিড কিট নিয়ে পানি অনেক ঘোলা হয়েছে এবং দু’টি উদ্ভাবন এখনও ব্যাপক পরীক্ষাধীন। আমরা আশা করি এ দু’টি উদ্ভাবন সফলতার মুখ দেখবে এবং ‘আমরাও পারি’ এ প্রতিপাদ্য আবারো জোড়ালো ভাবে প্রমাণিত হবে।

করোনাভাইরাস সংক্রমনকালীন আমাদের মনোজগতে কিছু শব্দ ও আচরণ প্রভাব ফেলেছে। লকডাউন, আইসোলেশন, কোয়ারেন্টাইন, রেডজোন ইত্যাদি শব্দগুলো ইংরেজি শব্দ হওয়ায় ও বহুল প্রচলিত শব্দ না হওয়ার কারণে এবং সামাজিক দুরত্বের মতো নেতিবাচক আচরণ সাধারণ জনগোষ্ঠীকে উদ্বুদ্ধ করতে পারেনি। তাছাড়া ধর্মীয় বিশ্বাস ও অনুভূতি, সাধারণের অজ্ঞতা এবং সরকারের সদিচ্ছা যথেষ্ট পরিমাণে না থাকায় লকডাউন অকার্যকর হয়। ফলশ্রুতিতে দেশ আজ করোনা মহামারি বা অতিমারি রূপ ধারণ করেছে।

আমাদের অনুধাবন করতে হবে যে, করোনা সংক্রমন বৈশ্বিক সমস্যা এবং ইতমধ্যে মানব বিনাশী রূপ ধারণ করেছে। তাই সংক্রমন রোধে যে দেশ যত বেশী প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে, সে দেশ তত বেশী নিরাপদ থাকবে। এমন নজির এরই মধ্যে কয়েকটি দেশে প্রতিস্থাপন করেছে। দূর্ভাগ্যবশতঃ আমারদের স্বাস্থ্য বিভাগ তেমন কার্যকর ব্যবস্থা আজ পর্যন্ত গ্রহণ করতে পারেনি। চরম হতাশার জায়গায় দাড়িয়ে কোনো দেশের বিশেষজ্ঞই বলতে পারছে না করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব কতদিন থাকবে বা আমরা কতদিনে সংক্রামণ মুক্ত হব। বিভিন্ন গণমাধ্যমের আলোচনায় জানা যায়, সংক্রামণের তীব্রতা কিছুটা কমলেও এর প্রভাব আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বহাল থাকবে। কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি না থাকলেও অনেকের ধারণা করোনা সংক্রমণ আগামী তিন বছর পর্যন্ত বহাল থাকতে পারে !

ইতিমধ্যে যে পিপিপি দূর্নীতি, ত্রাণ কাজে অনিয়ম, পাপুল কীর্তি, সর্বশেষ রিজেন্ট হাসপাতাল কাহিনী দুঃখজনক ভাবে ভাবমূর্তি ও সভ্যতার সংকট হিসেবে জাতির সামনে এসেছে। এ সময় দেশীয় ও বৈশ্বিক অবস্থা বিচার-বিশ্লেষণ করলে একথা নির্দ্বিধায় বলা যায় আমাদের জীবন ও জীবিকা এক গভীর খাদের কিনারে দাড়িয়েছে। অসর্তক পদক্ষেপে খাদে পতনের যেমন সম্ভাবনা রয়েছে, তেমনি সর্তক-পদক্ষেপে জীবন ও জীবিকা নিরাপদ বলয়ে প্রতিস্থাপন করাও সম্ভব। যদিও আমাদের অতীত-বর্তমান আশাব্যঞ্জক নয়, তবুও স্বাস্থ্য বিভাগ এবং সরকার আন্তরিক ও দৃঢ় হলে আমরা ঘুরে দাড়াতে পারব এমন বিশ্বাস জনগণের রয়েছে।

সুসময় দ্রত চলে যায়, দুঃসময় দানা বাঁধে। জনগণ দানা বাধা সময়ে থাকতে স্বস্তি বোধ করছে না, দ্রতই নিস্তার চায়। আর পিছনে না থাকিয়ে এখনি বাস্তব সম্মত পদক্ষেপ গ্রহণ করা দরকার। এর মধ্যে লকডাউন, রেডজোন অকার্যকর প্রমাণিত হওয়ার পথে, তাই গতানুগতিক এ ধারনা থেকে বের হতে হবে। পৃথিবী উন্মুক্ত থাকুক, পা দুটি মোড়ানো হোক চামড়ার জুতোয়। সংক্রমিত রোগীর ঘর-বাড়ী-বিল্ডিংকে চিহ্নিত করে নির্দিষ্ট রোগীকে পরিচর্যা করা সময়ের দাবী। এ প্রসঙ্গে আলোচনার আগে আর একটি বিষয়ে নজর দেওয়া করা দরকার। দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রাথমিক সময়ে আমরা উল্টো পথে হেঁটেছি। এলাকাকে ছোট ছোট ভাগে বিভক্ত না করে কেনাকাটার সময়কে কমিয়ে এনেছি। ১৫-১৬ ঘন্টা ক্রয় সময়কে মাত্র ৫-৭ ঘন্টায় এনেছি। এতে করে স্বল্প সময়ে কেনা কাটায় শত শত ক্রেতা বাজারে হুমড়ি খেয়ে পড়ে।

‘অধিক সমাগম অধিক সংক্রমন’ এ সাধারণ সূত্রটি বিবেচনায় রাখা হয়নি। ফলে ক্ষতি যা হওয়ার তাই হয়েছে। এখনো সেই ভুল সিদ্ধান্ত থেকে প্রশাসন বের হতে পারছে না।

নিয়ম-অনিয়ম, সফলতা-ব্যর্থতার উপর বিচার বিশ্লেষণ করলে এ কথা বলা যায় যে, আমরা করোনা ব্যবস্থাপনায় সর্বাংশে না হলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে চরম ব্যর্থতার স্বাক্ষর রেখেছি। এ বৃত্ত থেকে বের হতে হবে, আর বের হতে হলে জরুরী ভিত্তিতে করনীয় নির্ধারন করতে হবে যার কোনো বিকল্প নেই। এখন প্রশ্ন হলো কিভাবে এবং কোন উপায়ে আমরা করোনা মহামারির থাবা থেকে মুক্তি পাব ? এ প্রশ্নের উত্তর পেতে হলে, আমাদের আর্থিক সামর্থ্যকে আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে আনতে হবে। আমাদের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি শ্রম নির্ভর, কৃষি, গার্মেন্টস ও প্রবাসীর শ্রম। সাম্প্রতিক কালে কৃষি থেকে খাদ্য নিরাপত্তা মোটামুটি নিশ্চিত থাকলেও দেশের অর্থনীতি গার্মেন্টস শিল্প ও প্রবাসীর আয়ের উপর বেশি নির্ভরশীল। আর করোনার প্রাদুর্ভাবে এ দুটি খাতই বেশি ক্ষতিগ্রস্থ। দেশের মধ্যে শ্রমজীবী, প্রাতিষ্ঠানিক শ্রমিক/কর্মচারী, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, সাধারণ জনগোষ্ঠীর অর্থনীতি মারাত্মক বিপর্যয়ের পথে।

আমাদের হাতে কোনো পরিসংখ্যান নেই, তবে অনুমান করা যায়, বর্তমান সময়ে প্রায় দুই-আড়াই কোটি পরিবার অর্থাৎ ১০-১২ কোটি লোক চরম আর্থিক সংকটে আছে। লকডাউন কঠোর করতে হলে এদেরকে ঘরে রাখতে হবে। ঘরে রাখা সম্ভব মাসিক প্রণোদনা দিয়ে। প্রত্যেককে ২ হাজার টাকা দিলে ১ মাসে ২০-২৪ হাজার কোটি টাকার ব্যাপার ! যদি লকডাউন দীর্ঘ মেয়াদে করতে হয়, তবে কি দেশ সে ভার বহন করতে সক্ষম হবে? ঘাড়ে খড়গ নিয়ে সরকার যদি তা করেও, তবে কি পরবর্তী সময়ে ঘুরে দাড়ানোর শক্তি অবশিষ্ট থাকবে ? বর্তমান সময়ে তা কল্পনা করা ভয়ানক বিষয়। এ অবস্থায় ঢিলে-ঢালা লকডাউনের ভার দেশ আর বহন করতে পারবে না। সামনে পবিত্র ঈদূল আযহা, পশুর হাট ও ঘর মুখো মানুষের ঢল। এ দুটি এখন আলোচনার কেন্দ্র বিন্দু। তাছাড়া দেশের প্রায় অর্ধেক অংশ বন্যার কড়াল গ্রাসের আশঙ্কায়। এ পরিস্থিতিতে দেশ কি জোড়াতালির লকডাউনের মধ্যে থাকবে, নাকি

জীবন-জীবিকা সমন্বয় করে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে ? পৃথিবী এখন করোনার ২য় প্রবাহকে সামনে রেখে সমন্বয়ের পথে হাটছে। আমরা কি করব ? অর্থনীতির দিকে তাকালে জীবনের প্রতি কিছুটা নিষ্ঠুর হওয়া ছাড়া আপাততঃ বিকল্প কিছু আছে বলে অনেকেই মনে করে না।

করোনা প্রতিরোধে আমাদের গতানুগতিক কৌশলকে নতুন করে ঢেলে সাজানো উচিৎ। লকডাউন, রেডজোন কার্যকারিতা যেহেতু আশানুরূপ পর্যায়ে নেই, তাই তা প্রত্যাহার করে মানুষের জীবনের গতিকে ফিরিয়ে আনা উচিৎ। একই সঙ্গে আক্রান্ত ব্যক্তি ও পরিবারকে গভীর পর্যবেক্ষন ও পরিচর্যার লক্ষ্যে চিহ্নিত করতে হবে। এক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় ও গণ-সচেতনতা জীবনকে অনেক বেশী গতি ও স্বাছন্দ প্রদান করতে পারে। এ পর্যায়ে কি কি ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায় তা স্বল্পপরিসরে আলোচনা করা হলো :

১. আক্রান্ত ও ঝুকিপূর্ণ সকল এলাকায় মেয়র/কাউন্সিলর/জনপ্রতিনিধির নেতৃত্বে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি নিয়ে একটি পরিচালনা কমিটি গঠন করতে হবে ;

২. প্রতিটি খন্ড এলাকায় প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রাপ্তির লক্ষ্যে ছোট আকারে স্বেচ্ছা সেবী কর্মী তালিকা প্রনয়ণ করতে হবে, কাজের সুবিধার্থে বাসা/বাড়ী/বিল্ডিং এর প্রহরী/দারোয়ানকে স্বেচ্ছাসেবী তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করতে হবে;

৩. সংক্রমিত ও ঝুকিপূর্ণ সকল অঞ্চলকে ছোট ছোট ভাগে বিভক্ত করে অধিবাসী/নাগরিক তালিকা প্রনয়ন করতে হবে;

৪. করোনা পজেটিভ রোগী ও পরিবারকে আলাদা করার লক্ষ্যে চিহ্নিত করতে হবে। লকডাউন, আইসোলেশন, কোয়ারেন্টাইন ইত্যাদি শব্দের পরিবর্তে পরিচর্যা ঘর, সেবাঘর, বন্ধুঘর, প্রীতিঘর ধরনের নিজস্ব শব্দ প্রয়োগ সম্মানসূচক পর্যায়ে রাখতে হবে, প্রতি বিভক্ত এলাকায় নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসোলেশন সেন্টার) স্থাপন করতে হবে এবং গমনাগমন কঠোর ভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে ;

৫. আক্রান্ত এলাকার সকল লোককে বিনামূল্যে করোনা সংক্রমন পরীক্ষা করতে হবে এবং আক্রান্ত রোগী ও পরিবারের সদস্যগণকে খাদ্য, পথ্য, চিকিৎসা, সুরক্ষা সামগ্রী ইত্যাদি সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করতে হবে। জটিল ও ঝুকিপূর্ণ রোগীকে হাসাপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে, অন্যদের লক্ষণ-উপসর্গের চিকিৎসা করতে হবে;

৬. স্বাস্থ্য সেবার স্বার্থে জরুরী ভিত্তিতে সকল বেসরকারী হাসপাতাল/ক্লিনিক ও এর কর্মরত ডাক্তার, নার্স, সকল পর্যায়ের কর্মী এবং মেশিনারীজ একটি ভদ্র চুক্তির (জেন্টলম্যান এগ্রিমেন্ট) আওতায় আগামী ৩ মাসের জন্য সরকারের তত্ত্বাবধানে আনতে হবে, প্রয়োজনে সময় বৃদ্ধি করা যাবে;

৭. মাস্ক পরিধান, শারিরিক দূরত্ব বজায় এবং স্বাস্থ্যবিধি মানতে জনগণকে বাধ্য করতে হবে;

৮. সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অন্তত সেপ্টেম্বর’২০ পর্যন্ত বন্ধ রাখতে হবে। প্রয়োজনে সময় বৃদ্ধি করতে হবে;

৯. সকল ঝুকিপূর্ণ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, অফিস আদালতকে কঠোর নজরধারীর আওতায় রাখতে হবে;

১০. শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাচলের স্বার্থে সকল প্রকার যানবাহন পর্যাপ্ত পরিমাণে সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে এবং কঠোর নজর ধারীতে রাখতে হবে ;

করোনা মোকাবেলায় দিকহীন অভিযাত্রায় কোনো কৌশলই পরীক্ষা উর্ত্তীণ অভ্রান্ত ব্যবস্থাপনা নয়। করোনা সংকট থেকে উত্তরনের জন্য সম্ভাব্য উত্তম কৌশল বা পন্থাটি গ্রহণ করা হয়। এক্ষেত্রে উল্লেখিত প্রস্তাবনাটি বিবেচনায় আনা যেতে পারে। আমরা এই বলে উপসংহারে আসতে পারি যে- সততার সাথে সরকারের দায়-দায়িত্ব পালন ও জনগণের আন্তরিক কর্তব্য সাধনই নাগরিক অধিকার নিশ্চিত হতে পারে।

শেখ জহির উদ্দিন, সংস্কৃতি কর্মী, ইমেইলঃ sheikh.zahir.kuli@gmail.com

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *