নিজস্ব সংবাদদাতা : কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামী, ননদসহ তিনজনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ ।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে কিশোরগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় দেন। রায়ে অন্য তিন আসামিকে খালাস দেওয়া হয়।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার গুজাদিয়া ইউনিয়নের খৈলাকুড়ি গ্রামের খোকন মিয়া। তিনি নিহত হেনা আক্তার স্বামী। ননদ জরিনা খাতুন ও তাদের মামাতো ভাসুর জালাল মিয়া।
২০১৫ সালের ৪ অক্টোবর রাতে যৌতুকের জন্যক আসামিরা শ্বাসরোধ করে হত্যা করে খৈলাকুড়ি গ্রামের কুদ্দুছ মিয়ার মেয়ে হেনা আক্তারকে।
মামলার বিবরণে বলা হয়, প্রায় ১১বছর আগে একই গ্রামের খোকন মিয়ার সঙ্গে বিয়ে হয় হেনা আক্তারের। দাম্পত্য জীবনে তাদের ঘরে দুটি মেয়ে সন্তানের জন্ম হয়। কিন্তু খোকন বিভিন্ন সময় যৌতুকের জন্য চাপ দিতে থাকে হেনাকে। হেনাও বেশ কয়েকবার বাবার কাছ থেকে টাকা এনে দেন স্বামীকে। শেষ পর্যায়ে আরো এক লাখ টাকা দাবি করে স্বামী। কিন্তু এ টাকা দিতে অস্বীকার করলে স্বামী শ্বশুরবাড়ির লোকজন তার ওপর অত্যাচার নির্যাতন শুরু করে। পরে ২০১৫ সালের ৪ অক্টোবর রাতে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে স্বামীসহ তার আত্মীয়স্বজন।
এ ঘটনায় নিহত হেনার ভাই সাইকুল ইসলাম বাদী হয়ে স্বামীসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে করিমগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন করিমগঞ্জ থানার এসআই এসএম জহিরুল ইসলাম। দীর্ঘ শুনানি শেষে আজ বেলা ১১টায় রায় ঘোষণা করেন বিচারক।
রাষ্ট্রপক্ষে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে পিপি অ্যাডভোকেট এমএ আফজল এবং আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান আকন্দ ও অ্যাডভোকেট শ্যামল কুমার সরকার মামলাটি পরিচালনা করেন।