নিজস্ব সংবাদদাতা : সম্প্রতি বিয়ে হয় সাবিনা আক্তারের (১৮)। এখনও যায়নি হাতের মেহেদির রং। তার আগেই পারিবারিক কলহে সাবিনাকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ করেছে তার পরিবার। কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার পাগলশী বন্দেরবাড়ি এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) সকালে উপজেলার জয়সিদ্ধি ইউনিয়নের পাগলশী বন্দেরবাড়ি থেকে তার লাশ উদ্ধার করেছে ইটনা থানা পুলিশ।
নিহত সাবিনা আক্তার পাগলশী বন্দেরবাড়ির সোহেল মিয়ার স্ত্রী ও পার্শ্ববর্তী পাগলশী গ্রামের ইদ্রিছ মিয়ার মেয়ে।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহত সাবিনার স্বামী সোহেল মিয়া (২১) ও শাশুড়ি ফুলবানুকে (৪০) আটক
করেছে পুলিশ।
সাবিনার পরিবারের অভিযোগ, পারিবারিক কলহের জের ধরে নববধূ সাবিনাকে হত্যার পর আত্মহত্যার নাটক সাজাচ্ছে স্বামী সোহেল ও তার পরিবার।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি উপজেলার পাগলশী বন্দেরবাড়ির আলাল মিয়ার ছেলে সোহেলের সঙ্গে সাবিনার বিয়ে হয়। অভাব-অনটনের সংসারে বিয়ের কিছুদিন পর থেকে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে সাবিনার কলহ চলে আসছিল।
এই কলহের জেরে বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) রাতে সোহেল স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরে এই হত্যাকাণ্ডকে ধামাচাপা দিতে আত্মহত্যা হিসেবে অপপ্রচারের চেষ্টা চালান তিনি।
থানা পুলিশ সূত্র জানায়, সাবিনা বাড়ির পাশের গাছের সঙ্গে গলায় দড়ি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে এমন খবরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তার স্বামী সোহেল জানান, বাড়ির পাশের একটি গাছের সঙ্গে গলায় দড়ি পেঁচিয়ে তার স্ত্রী সাবিনা আত্মহত্যা করেছে।
সোহেল আরও জানান, মধ্যরাতের দিকে এই ঘটনার বিষয়টি জানতে পেরে তিনি নিজেই স্ত্রী সাবিনাকে ফাঁসি থেকে নামিয়ে এলাকার জয়সিদ্ধি বাজারের এক চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তবে সোহেলের এই অভিযোগ মানছেন না সাবিনার পরিবারের লোকজন। তাদের দাবি, সাবিনাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েছে সোহেলের পরিবার।
ইটনা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মুর্শেদ জামান জানান, লাশ উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহত সাবিনার স্বামী সোহেল মিয়া ও শাশুড়ি ফুলবানুকে আটক করা হয়।