নিজস্ব সংবাদদাতা : আট দিনের ব্যবধানে কিশোরগঞ্জের ভৈরবে বাসে আবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুনে বাসটির চালক পুড়ে মারা গেছেন। আজ সোমবার ভোরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ভৈরব বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের এই ঘটনা ঘটে। নিহত চালকের নাম আবুল হোসেন (৫৮)। তিনি নরসিংদীর পলাশের খালিশারটেক গ্রামের বাসিন্দা।
এর আগে ৩ জানুয়ারি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ঢাকা থেকে কিশোরগঞ্জের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া অনন্যা পরিবহনের একটি চলন্ত বাসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুনে বাসটির বেশির ভাগ অংশ পুড়ে গেলেও হতাহত হওয়ার কোনো ঘটনা ছিল না।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ পুড়ে যাওয়া বাসটি বিসমিল্লাহ পরিবহনের। এই পরিবহনের বাস দীর্ঘদিন ধরে ভৈরব থেকে ঢাকার মধ্যে যাতায়াত করে। বাসটি দুদিন ধরে বাসস্ট্যান্ড এলাকা লাগোয়া বঙ্গবন্ধু সরণি সড়কে থামিয়ে রাখা হয়েছিল। আজ সকালে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে বলে চালক রাতে এসে বাসের ভেতরে ঘুমিয়ে ছিলেন। তিনি একাই ছিলেন। ভোর পাঁচটার দিকে বাসটি থেকে আগুনের শিখা বের হতে দেখা যায়। পরে আগুন পুরো বাসে ছড়িয়ে পড়ে। কিছুক্ষণ পর ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট গিয়ে আধা ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। কিন্তু ততক্ষণে বাসের ভেতরে থাকা চালক পুড়ে মারা যান।
নিহত আবুল হোসেনের ছেলে ফরহাদ মিয়া বলেন, তাঁর বাবা প্রায় ২০ বছর ধরে এই পেশায় ছিলেন।
বিসমিল্লাহ পরিবহনের ভৈরব এলাকার তত্ত্বাবধায়ক রমজান মিয়া বলেন, বর্তমানে এই মহাসড়কে বিসমিল্লাহ পরিবহনের ১২টি গাড়ি চলছে। আবুল হোসেন প্রায় ১০ বছর ধরে একটি গাড়ির চালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহিন বলেন, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের ধারণা যে কয়েল জ্বালিয়ে চালক ঘুমিয়ে থাকতে পারেন। সেই কয়েল থেকেই আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। অনন্যা পরিবহনের আগুনের রহস্য উন্মোচন হয়েছে কি না—এমন প্রশ্নের উত্তরে ওসি বলেন, ওই ঘটনার তদন্ত চলছে।