ভৈরব সংবাদদাতা : কিশোরগঞ্জের ভৈরবে যাত্রীবাহী বাস – সিএনজি চালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে সিএনজির চালক ও যাত্রীসহ ৬জন গুরুতর আহত হন। ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তব্যরত চিকিৎসক তিনজনকে মুমূর্ষ অবস্থায় ঢাকা পাঠালে পথে লিটন মিয়া (৩৫) ও সজীব মিয়া (১০) নামে দু’জনের মৃত্যু হয়।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে ভৈরব-কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের কালিকাপ্রসাদ গাজীরটেক নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানন, আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ময়মনসিংহ থেকে ছেড়ে আসা ভৈরবগামী শ্যামল ছায়া পরিবহনের ঢাকা মেট্রো-ব-১১-০৯০৩ নম্বরের একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে কিশোরগঞ্জ থ-১১-৩২৩৩ নম্বরের একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। বাসের ধাক্কায় সিএনজিটি দুমড়ে মুচড়ে য়ায় এবং সিএনজিতে থাকা পাঁচজন যাত্রী ও চালক গুরুতর আহত হন।
খবর পেয়ে ভৈরব হাইওয়ে থানার পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আহতদের উদ্ধার করে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসেন।
আহতরা হলো, ভৈরব পৌর এলাকার পুলতাকান্দা গ্রামের মরহুম হাজী সিরাজ উদ্দিনের ছেলে লিটন মিয়া (৩৫) ও তাঁর ছেলে জয় (১৫), নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা উপজেলার চানকোনা গ্রামের সবুজ আলী ফকিরের ছেলে বাচ্চু মিয়া (৪০) ও তাঁর ছেলে সজীব মিয়া (১০), নেত্রকোনার পলাশহাটির সুফিউদ্দিনের ছেলে মানিক মিয়া (৪০) ও সিএনজি চালক নান্দাইল উপজেলার ইয়লদানী গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে মামুন (৩৪) কর্তব্যরত চিকিৎসক আহতদের চিকিৎসা দেয় এবং আহদের মধ্যে মুমূর্ষ অবস্থায় লিটন মিয়া (৩৫) ও তাঁর ছেলে জয় (১৫) ও সজীব মিয়াকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। ঢাকা নেয়ার পথে লিটন মিয়া ও সজীব মিয়ার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় ভৈরব হাইওয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া সিএনজি অটোরিকশা ও শ্যামল ছায়া পরিবহনের ঘাতক বাসটিকে থানায় নিয়ে আসেন। তবে বাসের চালককে আটক করতে পারেনি পুলিশ।