নিজস্ব সংবাদদাতা : কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া, মিঠামইন, কিশোরগঞ্জ সদর ও করিমগঞ্জ উপজেলায় পৃথক ঘটনায় চারজন খুন হয়েছে।
আজ বুধবার (২১ আগস্ট) সকাল ৬ টা থেকে বিকাল ৩ টার মধ্যে পাকুন্দিয়া, মিঠামইন, কিশোরগঞ্জ সদর ও করিমগঞ্জ উপজেলায় এসব ঘটনা ঘটে।
পুলিশ সুত্র জানায়, কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় পারিবারিক বিরোধের জেরে ছোট ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে বড় ভাই মুকুল (৫৫) খুন হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ ঘাতক মতি মিয়াকে আটক করেছে। আজ বুধবার ভোর ৬ টার দিকে পাকুন্দিয়া উপজেলার জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের চরটেকি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মুকুল চরটেকি গ্রামের মৃত হারুন-অর-রশিদের ছেলে। পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মফিজুর রহমান জানান, ভোরে পারিবারিক বিরোধের জেরে ছোট ভাই মতি মিয়া ছুরিকাঘাত করে বড় ভাই মুকুলকে খুন করে। এ ঘটনায় ঘাতক মতি মিয়াকে পুলিশ আটক করেছে।
কিশোরগঞ্জের মিঠামইনের ঘাগড়া এলাকায় বাড়ির পাশে রাস্তা নির্মাণকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে শাহজাহান নামে এক ব্যক্তি নিহত। আজ বুধবার সকালে মিঠামইন উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের ভরানয়হাটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শাহজাহান একই গ্রামের মৃত ধন মিয়ার ছেলে। মিঠামইন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির রাব্বানী জানান, বাড়ির পাশের রাস্তা নির্মাণ নিয়ে শাহজাহানের সাথে প্রতিবেশী কামরুলের বিরোধ ছিল। এ বিষয় নিয়ে আজ সকালেও দু’পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় কামরুল পক্ষের দেশীয় অস্ত্র বল্লমের আঘাতে শাহজাহান ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার দানাপাটুলি ইউনিয়নে নাতিকে মারধরে বাধা দেয়ায় মেয়ের জামাতার ছুরিকাঘাতে প্রাণ দিতে হলো শ্বাশুড়ি হালিমাকে।
আজ বুধবার দুপুরে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার দানাপাটুলি এলাকায় এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মেয়ের জামাই মো. হাবিবুর রহমান রনিকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী। পুলিশ জানায়, তিন বছর আগে দানাপাটুলি গ্রামের সৌদী প্রবাসী সায়েম উদ্দিন ও গৃহিনী হালিমা খাতুনের মেয়ে রীমার বিয়ে হয় একই এলাকার মনোহরপুর গ্রামের কামাল উদ্দিনের ছেলে হাবিবুর রহমান রনির সাথে। বিয়ের পর থেকে নেশাখোর স্বামী রনি তার স্ত্রী রীমাকে মারধর করতো। এ জন্য কিছুদিন ধরে আড়াই বছরের শিশুসন্তানসহ বাবার বাড়িতে বসবাস করছেন রীমা। দুপুরে শ্বশুড়বাড়িতে গিয়ে স্ত্রী রীমার সাথে ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়েন হাবিবুর রহমান রনি। এক পর্যায়ে তার শিশুপুত্র আনন্দকে মারধর করতে থাকলে বাধা দেন শ্বাশুড়ি হালিমা। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে হালিমাকে ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত করে রনি। আশংকাজনক অবস্থায় কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করেন। এ দিকে হত্যার পর ছুরি হাতে পালানোর সময় এলাকার লোকজন তাকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে আটক করে। পুলিশ নিহতের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে পারিবারিক বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে সুলাল মিয়া (৫৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
আজ বুধবার বিকেলে করিমগঞ্জ উপজেলার সুতারপাড়া ইউনিয়নের সুতারপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সুলাল মিয়া সুতারপাড়া গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে।