নিজস্ব সংবাদদাতা : কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে চাঞ্চল্যকর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র এরশাদুল ইসলাম চয়ন হত্যা মামলায় তিন জনকে মৃত্যুদন্ড এবং সাত জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে সাজাপ্রাপ্ত প্রত্যেক আসামিকে ৫ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়।
আজ বুধবার সকালে কিশোরগঞ্জের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আব্দুর রহিম আদালতে এ রায় দেন।
ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হচ্ছেন, আ: আউয়াল, আল-আমিন ও আব্দুল করিম। তাদের মধ্যে আলামিন ছাড়া বাকিরা পলাতক আছে।
যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হচ্ছেন, সুফল, সাফিয়া খাতুন, আব্দুল কাদির ফকির, সোহেল, রিপা আক্তার, মোছা. জহুরা খাতুন ওরফে অনুফা ও আব্দুর রউফ ফকির ওরফে রুপ মিয়া।
২০০৫ সালের ২ ডিসেম্বর পারিবারিক বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলার নিহত হন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র এরশাদুল ইসলাম চয়ন।
হোসেনপুর উপজেলার টানসিদলা গ্রামের জহিরুল ইসলাম রতনের একমাত্র ছেলে ছিলেন, এরশাদুল ইসলাম চয়ন। জাহাঙ্গিরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবস্থাপনায় অনার্সসহ মাষ্টার ডিগ্রী পাশ করে বিসিএস দিয়ে স্টেশন মাষ্টার হিসেবে নিয়োগ পান। দু’দিন পরই চাকরিতে যোগদান করার কথা ছিল চয়নের।
ঘটনার দিন দুপুরের দিকে আসামিরা দেশিয় অস্ত্র নিয়ে চয়নদের বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালায়। তার মা ও বোনকে পিটিয়ে আহত করে। এ সময় তাদের রক্ষা করতে এলে চয়নকে কুপিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করা হয়। আশংকাজনক অবস্থায় তাকে হোসেনপুর উপজেলা হাসপাতালে নেয়া হলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে ঘটনার দিন ৯ জনকে আসামি করে হোসেনপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০০৬ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
এ দিকে মামলার রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন নিহতের স্বজন ও রাষ্ট্রপক্ষ।
মামলা চলাকালীন সময়ে আমিনুল হক ওরফে হিরা নামে এক আসামি মারা যাওয়ায় তাকে অভিযোগ থেকে খালাস দেয়া হয়।