নিজস্ব প্রতিবেদক : এবারের মাজহারুন-নূর ফাউন্ডেশন সম্মাননা দেয়া হয়েছে স্বাস্থ্যসেবা-শিক্ষায় পথিকৃৎ চিকিৎসক-দম্পতি প্রফেসর ডা. আ ন ম নৌশাদ খান ও প্রফেসর ডা. সুফিয়া খাতুনকে। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) আনুষ্ঠানিকভাবে পঞ্চম মাজহারুন-নূর ফাউন্ডেশন সম্মাননা বক্তৃতা’র মাধ্যমে তাঁদের সম্মাননা দেয়া হয়।
বিকালে প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের লেকচার গ্যালারিতে ‘স্বাস্থ্যসেবা-শিক্ষায় পথিকৃৎ চিকিৎসক-দম্পতি প্রফেসর ডা. আ ন ম নৌশাদ খান ও প্রফেসর ডা. সুফিয়া খাতুন’ শীর্ষক এই সম্মাননা অনুষ্ঠানের সম্মাননা বক্তা ছিলেন ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহফুজ পারভেজ।
প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভাইস প্রিন্সিপ্যাল কর্নেল (অব.) ডা. জেহাদ খানের সভাপতিত্বে সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য প্রেসিডেন্টপুত্র রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক।
এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী ও পুলিশ সুপার মো. মাশরুকুর রহমান খালেদ বিপিএম।
অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন ফারুকী। এতে অন্যদের মধ্যে অধ্যাপক প্রাণেশ কুমার চৌধুরী, জেলা গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতি অ্যাডভোকেট ভূপেন্দ্র ভৌমিক দোলন, ঈশা খাঁ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর মো. আরজ আলী, সমাজসেবক শাহ ইস্কান্দার আলী স্বপন, কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক (উপ-পরিচালক) ডা. সুলতানা রাজিয়া, জেলা পরিষদ সদস্য ফৌজিয়া জলিল ন্যান্সি, ঈশা খাঁ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রক্টর প্রেসিডেন্টপুত্র রিয়াদ আহমেদ তুষার, জেলা প্রেসক্লাব সভাপতি মোস্তফা কামাল, কিশোরগঞ্জ নিউজ এর প্রধান সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম, ফরিদা মাহমুদ ঝর্ণা পাঠাগারের সভাপতি সাবেক ব্যাংকার ফিরোজ উদ্দীন ভূঞা, জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বাচ্চু, ডিপ্লোমা মেডিকেল এসোসিয়েশন কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি ডা. মো. গোলাম হোসেন প্রমুখ বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত চিকিৎসক-দম্পতি প্রফেসর ডা. আ ন ম নৌশাদ খান ও প্রফেসর ডা. সুফিয়া খাতুন ছাড়াও তাঁদের কন্যা ডা. তাহসিন ফিরোজা খান আমিনা অনুভূতি ব্যক্ত করে বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন ঈশাখাঁ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের চেয়ারম্যান মো. বদরুল হুদা সোহেল।
চিকিৎসক-দম্পতি প্রফেসর ডা. আ ন ম নৌশাদ খান ও প্রফেসর ডা. সুফিয়া খাতুন এর বর্ণাঢ্য ও মানবিক কর্মজীবনের বিভিন্ন দিকের ওপর আলোকপাত করতে গিয়ে সম্মাননা বক্তা ড. মাহফুজ পারভেজ বলেন, মানবতার কা-ারী হিসাবে যেসব চিকিৎসক ইতিহাসের অতীত থেকে আজকে পর্যন্ত প্রসারিত মহামিছিলে প্রাতঃস্মরণীয় হয়েছেন, এই প্রজন্মের উত্তরাধিকার রূপে তাদের প্রতিনিধিত্ব করছেন ডা. নৌশাদ খান ও ডা. সুফিয়া খাতুন। কিশোরগঞ্জের সফল চিকিৎসক-দম্পতির প্রথম ও উজ্জ্বল উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন তারা। কর্ম ও পেশার সাফল্যে আলোকিত এই চিকিৎসক-দম্পতি সমাজের নানামুখী উন্নয়নের পাশাপাশি আদর্শ পারিবারিক জীবনের অধিকারী। ডা. নৌশাদ খান ও ডা. সুফিয়া খাতুন হলেন তেমনই বিরুল ও বিশিষ্ট চিকিৎসক, যারা মানুষের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসার কাজে ইতিবাচক বিশ্বাস ও আধুনিক পদ্ধতি নিয়ে সমাজের তৃণমূলের মানুষের কাছে পৌঁছে যেতে সক্ষম হয়েছেন। কিশোরগঞ্জের তরুণ ও অনাগতকালের চিকিৎসক সমাজের সামনে এই চিকিৎসক-দম্পতি তাঁদের মহত্তম কাজের মাধ্যমে আলোকবর্তিকা রূপে বিরাজমান থাকবেন বলেও ড. মাহফুজ পারভেজ তাঁর সম্মাননা বক্তৃতায় মন্তব্য করেন।
সম্মাননা অনুষ্ঠানে জেলার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ছাড়াও প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজ, ঈশা খাঁ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও কিশোরগঞ্জ মডেল কলেজের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
ভাষা সংগ্রামী ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ডা. এএ মাজহারুল হক এবং সমাজসেবী নূরজাহান বেগম প্রতিষ্ঠিত মাজহারুন-নূর ফাউন্ডেশন পঞ্চম বারের মতো এ সম্মাননা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এর আগে ২০১৫ সালে প্রথম মাজহারুন-নূর ফাউন্ডেশন সম্মাননা পান শিক্ষাবিদ প্রাণেশ কুমার চৌধুরী, ২০১৬ সালে দ্বিতীয় মাজহারুন-নূর ফাউন্ডেশন সম্মাননা পান দীপ্তিমান শিক্ষকদম্পতি: অধ্যক্ষ মুহ. নূরুল ইসলাম ও বেগম খালেদা ইসলাম, ২০১৭ সালে তৃতীয় মাজহারুন-নূর ফাউন্ডেশন সম্মাননা পান ‘প্রজ্ঞার দ্যুতি ও আভিজাত্যের প্রতীক: প্রফেসর রফিকুর রহমান চৌধুরী’ এবং ২০১৮ সালে পঞ্চম মাজহারুন-নূর ফাউন্ডেশন সম্মাননা পান ‘ঋদ্ধ মননের প্রাগ্রসর ভূমিপুত্র: শাহ্ মাহতাব আলী’।