নিজস্ব সংবাদদাতা : কিশোরগঞ্জে যুবলীগ নেতা একেএম ইউসুফ মনি হত্যা ও তার ভাই পৌর কাউন্সিলর ইয়াকুব সুমনকে আহত করার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে সড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ মিছিল ও মানবন্ধন করেছেন স্থানীয়রা।
বুধবার দুপুরে শহরের কালীবাড়ি মোড় এলাকায় অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ ও মানববন্ধনে কিশোরগঞ্জের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, ব্যবসায়ী, বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়রসহ সকল কর্মকর্তা কর্মচারী এবং বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। এ সময় অবিলম্বে মূল আসামিদের গ্রেফতার করা না হলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার হুঁশিয়ারি দেয়া হয়।
‘শান্তিপ্রিয় কিশোরগঞ্জবাসী’র ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিলে বক্তারা বলেন, শতাধিক সন্ত্রাসী প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে ব্যবসায়ী ও যুবলীগ নেতা মনিকে কুপিয়ে হত্যা করে। গুরুতর আহত তার ভাই পৌরসভার কাউন্সিলর ইয়াকুব সুমন এখনও হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন। এ ঘটনায় শহরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। কিন্তু চাঞ্চল্যকর এ মামলার প্রধান আসামিদের এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
এ সময় বক্তৃতা করেন, কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মাহমুদ পারভেজ, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক বিলকিছ বেগম, জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশে বিষয়ক সম্পাদক এনায়েত করিম অমি, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাসুম খান, মারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান হলুদ, বিন্নাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আজহারুল ইসলাম বাবুল, জেলা টিভি জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বিজয় রায় খোকা, নারীনেত্রী ডা. রুবী ইসলাম, জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আনোয়ার হোসেন বাচ্চু ও যুবলীগ নেতা পল্লব করসহ প্রমূখ।
উল্লেখ্য গত ২৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় শহরের রথখলা এলাকায় মাধবী প্লাজার সামনে শতাধিক সশস্ত্র সন্ত্রাসী যুবলীগ নেতা ইউসুফ মনিকে কুপিয়ে হত্যা করে। এ সময় তাদের হামলায় গুরুতর আহত হন মনির ছোট ভাই কিশোরগঞ্জ পৌরসভার কাউন্সিলর ইয়াকুব সুমন। এ ঘটনায় মনির স্ত্রী বাদী হয়ে গত ২৭ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. মাশরুকুর রহমান খালেদ জানান, মনি হত্যা মামলায় এ পর্যন্ত ১১ জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ২ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। অন্য আসামিদের অচিরেই গ্রেফতার করা হবে।