নিজস্ব সংবাদদাতা : কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগে যুবক-যুবতীকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার গভীর রাতে হোসেনপুর উপজেলার হারেঞ্জা গ্রামের হাবিব মেম্বারের বাড়ির পাশ থেকে তাদের আটক করা হয়।
পুলিশ জানায়, আটককৃত যুবক আলমগীর হোসেন (২২) উপজেলার হারেঞ্জা গ্রামের এক ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলামের কলেজ পড়ুয়া মেয়ের সাথে গভীর রাতে নির্জন স্থানে অবস্থান করে অসামাজিক কাজ করছিলো। এ সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হোসেনপুর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের দুজনকে পুকুর পাড়ের কাছ থেকে অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকা অবস্থায় আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
আটক যুবক আলমগীরের প্রতারণার শিকার সৌদি প্রবাসি রতন জানান, আলমগীরের বাড়ি কুমিল্লা জেলার কোতোয়ালি থানার আদর্শসদর গ্রামে। কিন্তু; ওই যুবক নানা কৌশলে প্রবাসি এবং ধর্নাঢ্য ব্যক্তির স্ত্রীদের টার্গেট করে পরকিয়ায় জড়িয়ে শারিরিক সম্পর্ক করে। এক পর্যায়ে তাদের ফাঁদে ফেলে টাকা পয়সা ও স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নেয়। যার প্রতারণার শিকার আমার স্ত্রী। আমি প্রবাসে থাকার সুযোগে বাড়িতে প্রাইভেট শিক্ষকতার সুযোগ পেয়ে আমার স্ত্রীর সাথে নানা কৌশলে পরকিয়া সম্পর্ক গড়ে তুলে। এক পর্যায়ে স্ত্রীর সাথে আদালতের মাধ্যমে আমার ডিভোর্স হয়। কিন্তু; তারপরও আলমগীর নানা কৌশলে মেয়েদের এবং অনেক প্রবাসি স্ত্রীদের সাথে অনৈতিক সম্পর্ক চালিয়ে যাচ্ছিল। একেই ভাবে প্রেম করে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কলেজ পড়ুয়া যুবতীর সাথে শারিরিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে গভীর রাতে নির্জন স্থানে তাকে নিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসী বিষয়টি বুঝতে পেরে রাতে পুলিশকে খবর দিয়ে ধরিয়ে দেয়। তিনি, আটক প্রতারক লম্পট আলমগীরের শাস্তি দাবি করেছেন।
যদিও; আটককৃত যুবক-যুবতী তারা নিজেদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক আছে বলে দাবি করেছেন। কিছুদিন পর তাদের বিয়ে হবার কথা ছিলো বলে আদালত প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের কাছে জানিয়েছেন কলেজ পড়ুয়া যুবতী। আর প্রতারণা করে কারো কাছ থেকে কোন টাকা পয়সা নেয়নি বলে দাবি করেছেন আটক যুবক আলমগীর।
হোসেনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল হোসেন জানান, যুবক-যুবতীর মধ্যে অনৈতিক সম্পর্ক থাকার অভিযোগে এলাকাবাসি আটক করে তাদের পুলিশে সোপর্দ করে। তাদেরকে ৫৪ ধারায় আটক করে থানায় নিয়ে আসলেও, বুধবার দ:বি: ২৯০ ধারায় আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।