হাওর বাংলা ডেস্ক : জাকারিয়া মন্ডল এর তৃতীয় গ্রন্থ ‘নদী অঞ্চলের ইতিবৃত্ত’ এসেছে অমর একুশে গ্রন্থমেলায়। সম্পূর্ণ চার রঙে ভ্রমণ গল্পের এ বইটি প্রকাশ করেছে ঐতিহ্য। প্রচ্ছদ এঁকেছেন ধ্রুব এষ। নদী ও নদীপাড়ের জনপদে সরেজমিনের অভিজ্ঞতা বইটির মূল উপজীব্য।
বইটির ফ্ল্যাপে লেখক লিখেছেন, ঘুরতে ঘুরতে ভেসে চলা, নদী থেকে নদীতে। পাড়ে নেমে দেখে নেয়া প্রাচীন স্থাপনা, হাট-বাজার, জনপদ, জীবনের বৈচিত্র। একই স্থানে ফিরে ফিরে আসা। বিভিন্ন সময়ে। বিভিন্ন ঋতুতে। মিশে যাওয়া মানুষের সঙ্গে। অর্জিত অভিজ্ঞতায় সভ্যতা-সংস্কৃতি, সাহিত্য, ইতিহাস-ঐতিহ্য, কিংবদন্তি, পুরাণ-উপপূরাণের আখ্যান যোগ। সব এক ধারায় মিশে বহমান নদীর মতো নিরন্তর ছুটে চলে মোহনার পানে। এ গ্রন্থের নাম তাই ‘নদী অঞ্চলের ইতিবৃত্ত’।
এ গ্রন্থে উল্লেখিত সব নদীই মেঘনার সঙ্গে সম্পর্কিত। কোনোটি সরাসরি, কোনোটি হয়ত অন্য নদীর সঙ্গে মিশে মেঘনায় মুখ লুকিয়েছে। কোনোটি আবার মেঘনা থেকেই জন্ম নিয়ে জীবন পেয়েছে। সব যেন মেঘনারই অঙ্গ, প্রত্যঙ্গ ও পরিবার।
জাকরিয়া মন্ডলের প্রথম ভ্রমণ গল্প গ্রন্থ ‘পাহাড়ের ভাঁজে মহাকাব্য’। দ্বিতীয়টির নাম ‘বাড়ির পাশে তীর’। ‘নদী অঞ্চলের ইতিবৃত্ত’ নামে তৃতীয় গ্রন্থে ১৪টি গল্পে ডজন দুই নদীর ইতিবৃত্ত বর্ণিত হয়েছে। এগুলো হলো- বালু, শীতলক্ষ্যা, বুড়িগঙ্গা, ধলেশ্বরী, ধনু, ঘোড়াউত্রা, যাদুকাটা, খোয়াই, সারি-গোয়াইন (লালা খাল), লোভাছড়া, সুরমা, কালনী, মেঘনা, কীর্তনখোলা, সুগন্ধা, বিষখালী, ধানসিঁড়ি, গাবখান চ্যানেল, সন্ধ্যা, কচা ইত্যাদি।
অনিক খান, অপু দেবনাথ, আবু বকর, খন্দকার হাসিবুজ্জামান, টিটু দাস ও রিয়াসাদ সানভীর সঙ্গে জাকারিয়া মন্ডলের নিজের তোলা আলোকচিত্র বইটিকে দৃষ্টিনন্দন করে তুলেছে। অনেক দুর্লভ রেফারেন্সে গ্রন্থটিকে সমৃদ্ধ করেছেন লেখক।