সর্বশেষ
প্রচ্ছদ / বাংলাদেশ / জাতীয় / চলে গেলেন আবিদের স্ত্রী আফসানা খানম টপি

চলে গেলেন আবিদের স্ত্রী আফসানা খানম টপি

হাওর ডেস্ক : প্রিয়তম চলে গেছেন, কথাটি মেনে নিতে পারলেন না প্রিয়তমা। তাই হয়তো প্রিয়তমর টানে পাড়ি জমালেন না ফেরার দেশে। ইউএস-বাংলার একটি উড়োজাহাজ গত ১২ মার্চ কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত হলে ২৬ বাংলাদেশিসহ ৪৯ জনের মৃত্যু হয়। ওই ফ্লাইটের প্রধান বৈমানিক ছিলেন বিমান বাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা আবিদ সুলতান। স্বামীর শোক কাটতে না কাটতেই আবিদের স্ত্রী অফসানাও শুক্রবার সকালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

উড়োজাহাজ বিধ্বস্তে স্বামী আবিদ সুলতান মারা যাওয়ার পর অফসানা বলেছিলেন যা হারিয়েছি তা অপূরণীয়। কোনো কিছুতে তা আর পূরণ হওয়ার নয়।বেঁচে থাকাটা তাই হয়তো নিরর্থক হয়ে উঠেছিল আকষ্মিক দুর্ঘটনায় প্রিয়তমকে হারানো আফসানা খানম টপির জন্য।দুর্ঘটনার কয়েক দিনের মধ্যে স্ট্রোক করেন আফসানা। চিকিৎসাধীন ছিলেন আগারগাঁওয়ের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স অ্যান্ড হাসপাতালে।

বিমান দুর্ঘটনার খবরে সারা দেশ যখন শোকে স্তব্ধ, ঠিক তখনই স্ট্রোক করে হাসপাতালের বিছানায় মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছিলেন আবিদের স্ত্রী আফসানা। আফসানা অবস্থার উন্নতি হবে, সব কিচু আগের মতো হয়ে যাবে- স্বজনরা এমন খবরের আশায় থাকলেও চিকিৎসকরা ভালো খবর দিতে পারছিলেন না।

গত ২০ মার্চ ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স অ্যান্ড হাসপাতালের যুগ্মপরিচালক প্রফেসর ড. বদরুল আলম মন্ডল বলেছিলেন, ক্যাপ্টেন আবিদের স্ত্রী বেঁচে আছেন। তবে তার অবস্থা সঙ্কটপূর্ণ। তবে তার কিডনি, হার্ট লিভার সব সচল রয়েছে। তার রক্ত চাপ ১২০/৮০। কিন্তু তার ব্রেন স্বাভাবিক রেসপন্স করছে না। যন্ত্রের সাহায্যে তার শ্বাস-প্রশ্বাস চলছে।

২২ মার্চ তিনি আরও খারাপ খবর জানান। বলেন, টপির শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। তার কিডনি রেসপন্স কম করছে। ব্লাড প্রেসারও কমে গেছে। উন্নত যা চিকিৎসা দেশেই সম্ভব। বিদেশে নিয়ে যাওয়ার মতো অবস্থাতেই নেই আফসানা।

এরপর আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টায় এল সবচেয়ে খারাপ খবরটি। স্বার্থপর পৃথিবী ছেড়ে চলে গেলেন আফসানা খানম টপি। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স অ্যান্ড হাসপাতালের যুগ্মপরিচালক প্রফেসর ড. বদরুল আলম মন্ডল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আফসানার মৃত্যুর খবর শুনে হাসপাতালে ভিড় করেছেন তার স্বজনরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *