হাওর বাংলা ডেস্ক : বঙ্গবন্ধু ও মহাত্মা গান্ধীর দর্শন অনুযায়ী চললে বর্তমান সময়ের মানুষের মধ্যে হানাহানি, হিংসা ও বিদ্বেষ থাকার কথা নয়। মহান এই দুই নেতার মধ্যে মানুষকে কাছে টানা ও ভালোবাসার যে মহৎ গুণ ছিল তা সর্বকালের জন্য দৃষ্টান্ত। এই দুই নেতার আদর্শ অনুসরণ করলে শান্তিপূর্ণ পৃথিবী প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রী ‘লিডারশিপ মেটার্স রেলিভেন্স অব মহাত্মা গান্ধী ইন দ্যা কনটেম্পোরারি ওয়ার্ল্ড’ শীর্ষক উচ্চপর্যায়ের সাইড ইভেন্টে অংশ নিয়ে এই কথা বলেন। ইভেন্টটি নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত হয়। এতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ বিশ্বের অনেক নেতা উপস্থিত ছিলেন। সভায় মহাত্মা গান্ধীর আদর্শের আলোকে বিশ্বের সমসাময়িক বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে বিশ্ব নেতৃবৃন্দের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মিয়ানমারের হিংসা-বিদ্বেষ ও নির্যাতনের কারণে ১ মিলিয়ন রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। মানবিকতার খাতিরে এবং সবার আগে মানুষ- এই পরিপ্রেক্ষিত বিবেচনায় বাংলাদেশ নির্যাতিত এই জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মানুষের জন্য এই যে ভালোবাসা- এই গুণটি বঙ্গবন্ধুর মধ্যে ছিল; যা আমাদের তিনি শিখিয়েছেন। ঠিক তেমনি মহাত্মা গান্ধীর মধ্যে এই গুণটি ছিল। এই দুই নেতার মধ্যে মানুষকে ভালোবাসতে পারার যে গুণ ছিল তা যদি বিশ্বের সবাই পালন করি তাহলে আমাদের মধ্যে হিংসা-বিদ্বেষ, ভেদাভেদ, সন্ত্রাস, চরমপন্থা কিছুই থাকবে না। এই দুজনের আদর্শ অনুসরণ করলে একটি শান্তিপূর্ণ পৃথিবী প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে।
উল্লেখ্য, চলমান জাতিসংঘের ৭৪তম অধিবেশনে অংশ নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন নিউইয়র্ক অবস্থান করছেন।