হাওর বাংলা ডেস্ক: এশিয়ার ২৭টি দেশ নিয়ে গঠিত ফোরাম কনফারেন্স অন ইন্টারেকশন অ্যান্ড কনফিডেন্স বিল্ডিং মেজারস ইন এশিয়ার (সিআইসিএ) পঞ্চম সম্মেলনে যোগ দিতে তাজিকিস্তানের রাজধানী দুশানবে যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি দুশানবের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বেন বলে জানিয়েছেন তার প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন।
তিনি বলেন, “সম্মেলেনে এশিয়ার বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা যোগ দেবেন। মূল সম্মেলনের বাইরে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সঙ্গে রাষ্ট্রপতির বৈঠক হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।”
এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা প্রসারে কাজ করে সিআইসিএ। কাজাখস্তানের রাজধানী নূর সুলতানে এই সংস্থার সদর দপ্তর অবস্থিত।
এই সংস্থার সদস্য দেশগুলো হল- আফগান্স্তিান, আজারবাইজান, বাহরাইন, বাংলাদেশ, কম্বোডিয়া, চীন, মিশর, ভারত, ইরান, ইরাক, ইসরাইল, জর্ডান, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, মঙ্গোলিয়া, পাকিস্তান, ফিলিস্তিন, কাতার, দক্ষিণ কোরিয়া, রাশিয়া, শ্রীলঙ্কা, তাজিকিস্তান, থাইল্যান্ড, তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত, উজবেকিস্তান এবং ভিয়েতনাম।
এছাড়া বেলারুশ, ইন্দোনেশিয়া, জাপান, লাওস, মালয়েশিয়া, ফিলিপিন্স, ইউক্রেইন এবং যুক্তরাষ্ট্র এর পর্যবেক্ষক হিসেবে রয়েছে।
জাতিসংঘ ছাড়াও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা-আইওএম, লিগ অব আরব স্টেটস, অর্গানাইজেশন ফর সিকিউরিটি অ্যান্ড কোঅপারেশন ইন ইউরোপ, পার্লামেন্টারি অ্যাসেম্বলি অব দ্য টার্কিক স্পিকিং কান্ট্রিজ এর সিআইসির পর্যবেক্ষক।
এশিয়াভিত্তিক এই সংস্থার বর্তমান সভাপতির দায়িত্বে আছে তাজিকিস্তান।
১৯৯২ সালে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে এই সংস্থা প্রতিষ্ঠার প্রথম প্রস্তাব করেন কাজাখস্তানের প্রেসিডেন্ট নূর সুলতান নাজারবায়েভ। এর প্রথম সম্মেলন হয় ২০০২ সালে। ২০১৪ সালে বাংলাদেশ এই ফোরামের সদস্য হয়।
প্রেস সচিব জানান, দুশানবেতে সম্মেলন শেষে রাষ্ট্রপতি উজবেকিস্তান সফর করবেন। ১৯ জুন দেশে ফেরার কথা রয়েছে আবদুল হামিদের।