নিউজ ডেস্ক : দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে দেশের বহুল প্রত্যাশিত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ। ধীরে ধীরে মাথা তুলছে এই এক্সপ্রেসওয়ে। এই প্রকল্পটি শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দর থেকে শুরু হয়ে কুড়িল, বনানী, মহাখালী, তেজগাঁও, মগবাজার, কমলাপুর, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ি হয়ে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী এলাকায় গিয়ে শেষ হবে। প্রায় ৪৬.৭৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই এক্সপ্রেসওয়েটি রাজধানীর যানজট নিরসনের জন্য সব থেকে বড় প্রকল্প।
ইতোমধ্যে প্রকল্পের প্রথম অংশের কাজ অনেকটা শেষ হয়েছে। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারীতে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রথম ও দ্বিতীয় অংশ বিমানবন্দর থেকে মগবাজার পর্যন্ত যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে। সে লক্ষ্যে দিনরাত কাজ চলছে বিমানবন্দর থেকে বনানী অংশের। সরকারি বেসরকারি অংশীদারিত্বের উপর ভিত্তিতে দ্রুত গতিতে চলছে এই প্রকল্প সম্পন্ন করার কাজ। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে ইটাল-থাই ডেভেলপমেন্ট পাবলিক কোম্পানি। এই প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেন, রাজধানীবাসীর যাতায়াতের কথা চিন্তা করে দ্রুত এই এক্সপ্রেসওয়ের কাজ এগিয়ে চলছে। সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসংলগ্ন এলাকায় মূল প্রকল্পের পাইলিং কাজ শুরু হয়ে এখন বনানী পর্যন্ত চলছে। উড়ালসড়কের জন্য মোট সাড়ে ৫ হাজার পাইলিং হবে। এর মধ্যে আশকোনা থেকে বনানী পর্যন্ত প্রায় ১৩ হাজার পাইলিংয়ের কাজ শেষ হয়েছে। সেই সাথে রাজধানীবাসীর স্বপ্ন ধীরে ধীরে পাখা মেলতে শুরু করেছে।
বহুল কাঙ্খিত এই এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের ফলে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন ঘটবে। রাজধানীর ওপর চাপ সৃষ্টি না করেই শত শত পণ্য ও যাত্রীবাহী হালকা-ভারি যানবাহন সহজেই এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে চলাচল করতে পারবে।
সাধারণত দেখা গেছে যে কোনো প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে তার আশেপাশের এলাকা ও রাস্তাঘাট কিছুটা ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এর ফলে নির্মাণ কাজ চলাকালীন মানুষের জনদুর্ভোগ বেড়ে যায়। এক্সপ্রেসওয়ের ক্ষেত্রে সেই জনদুর্ভোগ যাতে না হয় সে দিকে নজর রাখা হয়েছে।
দেশের মানুষের মূল্যবান সময়কে হত্যা করছে যানজট। এই যানজট নিরসনের জন্য সরকার কর্তৃক নেয়া হয়েছে নানা রকম পরিকল্পনা ও প্রকল্প। ইতোমধ্যে অনেক প্রকল্প বাস্তবায়নও হয়েছে। তারমধ্যে মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভারসহ আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ ফ্লাইওভার অর্থাৎ উড়াল সড়ক রয়েছে এর তালিকায়। যার মাধ্যমে রাজধানীবাসী যানজট নামক অভিশাপ থেকে মুক্তি পেয়েছে। রাজধানীবাসী আশা করছে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে বড় ভূমিকা রাখবে যানজট নিরসনে।