বর্তমানে ৪০.৫৮ কিলোমিটার জাতীয় মহাসড়ক চার-লেনে উন্নীতকরণের কাজ চলছে। বর্তমান সরকারের ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে দেশে প্রথমবারের মতো ধীরগতির যানবাহনের জন্য পৃথক লেনের সংস্থান রেখে সিরাজগঞ্জের হাটিকামরুল মোড় থেকে নাটোরের বনপাড়া মোট পর্যন্ত ৫১.২৬ কিলোমিটার দুই-লেন বিশিষ্ট জাতীয় মহাসড়ক নির্মাণ করা হয়েছিল। বর্তমান সরকারের এই মেয়াদে প্রায় ৩৯৩.৬৮ কিলোমিটার জাতীয় মহাসড়ক উভয় পাশে একস্তর নিচু দিয়ে পৃথক সার্ভিস লেনসহ চার-লেনে উন্নীতকরণের কাজ বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। তন্মধ্যে ঢাকা-পদ্মা সেতু-ভাঙ্গা জাতীয় মহাসড়ক, জয়দেবপুর-চন্দ্রা-টাঙ্গাইল-এলেঙ্গা জাতীয় মহাসড়ক, এলেঙ্গা-হাটিকামরুল-রংপুর জাতীয় মহাসড়ক এবং আশুগঞ্জ নদীবন্দর-সরাইল-ধরখার-আখাউড়া স্থলবন্দর মহাসড়ক অন্যতম।
অনুরূপভাবে আরও ৭৯৩.৩০ কিলোমিটার জাতীয় মহাসড়ক চার-লেনে বা ধীরগতির যানবাহনের জন্য উভয় পাশে এক স্তর নিচু দিয়ে পৃথক পৃথক সার্ভিস লেনে সংস্থানসহ চার-লেনে উন্নীত করার উদ্যোগ প্রক্রিয়াধীন। নিরবচ্ছিন্ন জাতীয় মহাসড়ক নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার লক্ষ্যে সরকার প্রধান প্রধান নদীসমূহের ওপর সেতু নির্মাণ সম্পন্ন করেছে। বাংলাদেশে প্রথম ৩২.২০ কিলোমিটার দীর্ঘ পাতাল রেল নির্মিত হতে যাচ্ছে। গাবতলী-ধানমণ্ডি-পান্থপথ-হাতিরঝিল লিংক রোড-নগরপাড়া পর্যন্ত সম্পূর্ণ আন্ডারগ্রাউন্ড MRT Line-5 নির্মাণের লক্ষ্যে প্রাক-সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের নিমিত্ত কারিগরি সহায়তা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। চট্টগ্রাম শহরের এক অংশের সঙ্গে অন্য অংশের সংযোগ স্থাপন, যানজট নিরসন, ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সরাসরি সড়ক যোগাযোগ সহজীকরণ এবং চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের পণ্য পরিবহনের লক্ষ্যে ৮,৪৪৬ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে রেলওয়ের উন্নয়ন বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করেছে।