হাওর বাংলা ডেস্ক : সরকারি চাকরিতে বিভিন্ন কোটা বাতিলের দাবিতে আন্দোলন চললেও মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল থাকবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (২১ মার্চ) পটিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় সরকার প্রধান মুক্তিযোদ্ধাদের গুরুত্ব তুলে ধরে এই কোটা বহাল রাখার পক্ষে অবস্থান জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, “মুক্তিযোদ্ধাদের কারণেই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে বিধায় তাদের অধিকার সবার আগে। মুক্তিযোদ্ধাদের ছেলে-মেয়ে, নাতি-নাতনি সবাই সর্বাগ্রে অধিকার ভোগ করবে। সে কারণে চাকরিতে আমরা কোটার ব্যবস্থা করেছি।” তবে কোটা যদি পূরণ না হয়, তাহলে শূন্য পদে সাধারণ চাকরিপ্রার্থী মেধাবীদের নিয়োগ দিতে কোটার শিথিলের কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
বর্তমানে সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ পদ বিভিন্ন কোটার জন্য সংরক্ষিত। মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ৩০ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জন্য ৫ শতাংশ, প্রতিবন্ধীদের জন্য ১ শতাংশ পদ সংরক্ষিত। এছাড়া নারী ও জেলা কোটা রয়েছে ১০ শতাংশ করে। এই কোটা সংস্কারের দাবিতে দেশব্যাপী শিক্ষার্থী এবং চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে সরকার সম্প্রতি জানায়, কোটায় যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে মেধা তালিকায় থাকা প্রার্থীদের মধ্য থেকে সেসব পদ পূরণ করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী জনসভায় বলেন, “তাদের (মুক্তিযোদ্ধাদের) আত্মত্যাগের কারণেই তো আজকে চাকরির সুযোগ, আজকের এই স্বাধীনতা, মানুষের উন্নয়ন। যদি দেশ স্বাধীন না হতো তাহলে কোনো উন্নয়ন হত না, কারও কোনো চাকরিও হত না। কোনো উচ্চ পদেও কেউ যেতে পারত না। “এ কথাটা ভুললে চলবে না। তাই তাদেরকে আমরা এই সম্মানটা দিচ্ছি।” দেশে সোলার প্যানেল, পরমাণু ও কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের বিষয়টি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সারাদেশে একশ ইপিজেড করছি। আমরা চাই দেশে কেউ বেকার থাকবে না।”