হাওর বাংলা ডেস্ক : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, শেখ হাসিনার করা উন্নয়নে দেশের মানুষ এতটাই খুশি যে, আগামী নির্বাচনে দলের জয় নিয়ে সংশয়ের কোনো কারণ তিনি দেখছেন না। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন সামনে রেখে শুক্রবার (১৬ মার্চ ) ঢাকার ধানমন্ডিতে দলীয় এক অনুষ্ঠানে সেতুমন্ত্রী কাদেরের এমন বক্তব্য আসে। তিনি বলেন, “শেখ হাসিনার উন্নয়নে, অর্জনে জনগণ খুশি। নির্বাচনে বিজয় একটা আনুষ্ঠানিকতা মাত্র।” আওয়ামী লীগের টানা দ্বিতীয় মেয়াদের বর্তমান সরকারের সময় শেষে চলতি বছরের শেষ দিকে একাদশ জাতীয় নির্বাচন হওয়ার কথা। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করা বিএনপি অভিযোগ করে আসছে, ওই নির্বাচনে জয় নিশ্চিত করতে ক্ষমতাসীনরা তাদের ভোটের বাইরে রাখতে চাইছে। এ কারণেই তাদের নেত্রী খালেদা জিয়াকে ‘ভিত্তিহীন’ মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তবে ওবায়দুল কাদের বলছেন, সরকার গত নয় বছরে যে উন্নয়ন করেছে, তাতে জনগণ খুশি বলেই আওয়ামী লীগকে ভোট দেবে বলে তার বিশ্বাস। ‘আগামী নির্বাচন নিয়ে কোনো প্রকার সংকোচ, কোনো প্রকার ভয় আমাদের নেই। কারণ উন্নয়ন অর্জন করে, আমাদের কর্ম দিয়ে আমরা ভয়কে জয় করে ফেলেছি।” আওয়ামী লীগ ও সরকারের রিরুদ্ধে যারা বিভিন্ন অভিযোগ করছে, সেসব নিয়ে ‘কোনো মাথাব্যথা নেই’ বলেও মন্তব্য করেন দলটি সাধারণ সম্পাদক। “বিএনপি এত চেষ্টা করেছে একটা আন্দোলন করার জন্য, মানুষ কিন্তু সাড়া দেয়নি। তার কারণ হচ্ছে, এ দেশের জনগণ বিএনপির নেতিবাচক রাজনীতিকে পছন্দ করে না, তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। “কাজেই বিএনপির কোন নেতা কী বলল, সরকারে বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করল- এ নিয়ে আমাদের মাথাব্যথা নেই। আমাদের মাথাব্যথা হল- কীভাবে আমাদের চলমান উন্নয়নের কাজগুলো সমাপ্ত করব।” কাদেরের ভাষায়, আওয়ামী লীগ যখন মানুষের মন জয় করার চেষ্টা করছে, বিএনপি তখন নির্বাচন ‘ভণ্ডুল করার ষড়যন্ত্রে’ লিপ্ত। “দেশি বিদেশি নানা মহলের সাথে তারা ওঠাবসা করছে, গোপন বৈঠক করছে কীভাবে দেশে একটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে নির্বাচনকে ভণ্ডুল করা যায়। তবে এবারে আমরা বিশ্বাস করি, ২০১৪ সালে ৫ জানুয়ারির সেই দিন আর ফিরে আসবে না।” বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মী এখন আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়ার অপেক্ষায় মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, “আমরা এখনো সম্মতি দিচ্ছি না। সারা বাংলায় আমাদের নেতারা, জনপ্রতিনিধিরা জানাচ্ছেন যে, ওমুক জায়গায় বিএনপির নেতাকর্মীরা যোগ দিতে চায়।… নেত্রীর কাছ থেকে আমরা গ্রিন সিগনাল পাইনি, সে কারণে আমরা সেই যোগদানে এখনো সম্মত হতে পারছি না। বিএনপির জোয়ারের দিন শেষ, এখন ভাটার টান।”