সর্বশেষ
প্রচ্ছদ / মতামত / প্রসঙ্গঃ প্রস্তাবিত ভৈরব জেলা- কাঙ্খিত হাওর জেলা- বিকল্প মডেল জেলা

প্রসঙ্গঃ প্রস্তাবিত ভৈরব জেলা- কাঙ্খিত হাওর জেলা- বিকল্প মডেল জেলা

– শেখ জহির উদ্দিন

একটি বাতিল বা তামাদি হওয়া বিষয় সামাজিক মাধ্যম ফেইসবুকসহ কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলা এবং হাওরঅঞ্চল ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম উপজেলা অধিবাসীর মানসে প্রবল ভাবে থাকছেই; আমাদের প্রিয় নেতা মহামান্য রাষ্ট্রপতি প্রয়াত জিল্লুর রহমান এর জীবদ্দশায় ভৈরব জেলা ঘোষনার দাবী প্রত্যাখান করে কিশোরগঞ্জ জেলার কয়েকটি উপজেলায় জ্বালাও-পোড়াও, ভাংচুর, রেল-সড়ক অবরোধসহ তীব্র গণআন্দোলন গড়ে উঠে। বিষয়টি তখন শুধু ভৈরব-কিশোরগঞ্জ এর মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিলনা। দেশের আরো কয়েকটি এলাকায় নতুন জেলা ও বিভাগের দাবীতে আন্দেলন সৃষ্টি হয়। তখন গণদাবীর মুখে দেশের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে বলা হয় “জনগণের মতামতের বাইরে কিছু করা সরকারের ইচ্ছে নেই” ফলে ভৈরব-কিশোরগঞ্জ সহ দেশের সকল এলাকার দাবী-আন্দোলন তামাদি হয়। প্রায় অর্ধযুগ পর বিতর্কিত বিষয়টি পুনরাবৃত্তি হয় জনৈক সাংবাদিকের এক প্রশ্নে শাসকদল আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এর একটি আশ্বাস বাণী থেকে। মহামান্য রাষ্ট্রপতি প্রয়াত মোঃ জিল্লুর রহমান এর ৪র্থ মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে জনৈক সাংবাদিক এর প্রশ্নোত্তরে জনাব কাদের জানান “প্রস্তাবিত নতুন জেলা ভৈরব- বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে”। এর প্রেক্ষিতে বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় আসে। ফলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইজবুকে তীব্র হাওয়া সৃষ্টি হয়। ধারনা করা হয় উপর মহলের ইঙ্গিতে বিষয়টি তখনকার মত চাপা পড়ে।

বর্তমান মহামান্য রাষ্ট্রপতি জনাব আব্দুল হামিদ এর আশীর্বাদপুষ্ঠ হাওরঅঞ্চল ইটনা-মিঠামইন-অষ্ট্রগ্রামে অভূতপূর্ব উন্নয়নের জোয়ার লাগে, যুগ যুগ ধরে অবহেলায় অন্ধকারে পড়ে থাকা ভাটী এলাকা যোগাযোগ ক্ষেত্রে বিস্ময়কর উন্নয়ন হয়। “বর্ষায় নাও গ্রীষ্মে পাও” প্রবাদটি সময়ের আলোকে এখন অতীত। দৃষ্টিনন্দন রাস্তা- ব্রীজ নিমার্ণ হওয়ায় ভাটি এলাকা আজ পর্যটন ক্ষেত্র হিসেবে দেশব্যাপী আগ্রহের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু। কিছুদিন আগেও ভাটি এলাকার জনজীবন শুধু কষ্ট দুর্ভোগ ছিলনা, দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল অনিরাপদও ছিল। ইতিমধ্যে দেশের উত্তর-পূর্ব এলাকাকে নিরাপত্তার বলয়ে আনার লক্ষ্যে একটি সেনানিবাস স্থাপনের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। বিভিন্ন মূখী উন্নয়নের অভিযাত্রায় আগের যে কোন সময়ের তুলনায় বর্তমানে হাওরবাসী অনেক বেশী আশাবাদী। ফলে ভৈরববাসীর মত হাওরবাসীও আলাদা জেলা প্রত্যাশা করছে। বরং বলা চলে এদের বাসনা অধিকতর তীব্র। জন-আকাঙ্খাসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হাওর জেলা ও ভৈরব জেলা বাস্তবায়ন ফোরাম শিরোনামে ফেইজবুক পেজ খুবই সরব।

দেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা ও প্রশাসনিক জটিলতা বিবেচনায় নিলে প্রায় এক দশক আগে সৃষ্ট ও বর্তমানে প্রবাহমান আবেগটি কি ভাবে নিষ্পত্তি হবে তা গভীরভাবে ভেবে দেখা দরকার। দাবীটি বাতিল বা তামাদি অবস্থায় থাকবে কি ? না জনসার্থে বিষয়টি পূণঃ বিবেচনা করা হবে? এ সকল প্রশ্নের উত্তর খুজতে ও সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে আমাদিগকে এক নজরে অতীত ঘুরে আসতে হবে।

১৯৭১ সালে সাড়ে সাত কোটি মানুষ নিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশ। প্রশাসনিক কাঠামো ইউনিয়ন, থানা, মহকুমা, জেলা, বিভাগ। ৪টি বিভাগ ১৭টি জেলা। প্রতি জেলায় ৫-৭টি মহকুমা, প্রতি মহকুমায় ১০- ১৫টি থানা। সদ্য স্বাধীন দেশ, হাঁটি-হাঁটি পা-পা করে আমরা এগোচ্ছি। আমাদের মহান নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর নেতৃত্বে। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের প্রশাসন এখনকার মত তখনও গণমুখী ছিল না। বৃটিশ ধাঁচে গড়া প্রশাসন, আদেশ- নির্দেশ ও হুকুমজারী মানসিকতার এক ভিন্ন স্বত্ত¡া। বঙ্গবন্ধু তার চিন্তা চেতনায় স্বাধীন দেশের স্বাধীন নাগরিক উপযোগী স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিত্বমূলক জেলা গর্ভনর পদ সৃষ্টি করে জনপ্রতিনিধির হাতে জেলার শাসন ভার ন্যাস্ত করার এক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। জাতির দুর্ভাগ্য দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্তে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে বঙ্গবন্ধু সৃষ্ট যুগান্তকারী উচ্চপর্যায়ের জনপ্রশাসনকেও একই সঙ্গে গলাটিপে হত্যা করে। পরবর্তী সময়ে জিয়াউর রহমান গ্রাম সরকার সৃষ্টি করে প্রশাসনকে প্রান্তিক জনগণের হাতের মুঠোয় নিয়ে আসেন। সিদ্ধান্তটিকে আপাততঃ গণবান্ধব মনে হলেও ঘোড়ার আগে গাড়ী সংযোগের মতো ঘটনা হিসেবে প্রতিয়মান হয়। কারণ তখনো গণমানুষের মানসিকতা ও মনন সে পর্যায়ে উন্নত ছিলনা, কথিত উত্তর পাড়াসহ আন্তর্জাতির চক্রান্তে জিয়াউর রহমান নিহত হওয়ার পর গ্রাম সরকার ব্যবস্থাটিরও অকাল মৃত্যু ঘটে। দৃশ্যপটে আসেন হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদ। ক্ষমতা দখল করে তিনি বঙ্গবন্ধুর জেলা গভর্নর, জিয়ার গ্রাম সরকার ব্যবস্থার অনুরূপ উপজেলা পরিষদ সৃষ্টি করেন।

এরশাদ সরকার এর দীর্ঘ নয় বছর শাসন আমলে উপজেলা পরিষদ নিয়ে অনেক আলোচনা সমালোচনা থাকলেও স্থানীয় সরকার কাঠামো জনগণের দোর গোড়ায় থাকার কারণে নিজেদের পছন্দের মানুষকে নিজ ইচ্ছানুসারে নির্বাচিত করার অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়। তাছাড়া ম্যাজিষ্টেটকোর্ট ও আদালত প্রতি উপজেলায় প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সুবাদে আইনের আশ্রয় সহজলভ্য হয়। ফলে গণমানুষের একটি ভরসার জায়গা সৃষ্টি হয়। দীর্ঘ রাজনৈতিক আন্দোলনের মুখে এরশাদ শাহীর পতন হয়। কিছু স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠির বিরোধিতা ও চক্রান্তে এরশাদ পতনের তালে তালে জনবান্ধব উপজেলা পরিষদ কাঠামোটি বাতিল করা হয়। পরবর্তী সময়ে ভিন্নমুখী আপোষ রফায় কিছু কিছু পরিবর্তন সাপেক্ষে উপজেলা পরিষদ ব্যবস্থাটি পূনঃ প্রবর্তন হয়। ইতোমধ্যে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নতুন আঙ্গিকে ৬৪টি জেলা পরিষদ গঠিত হয়। জনগণের পরোক্ষ ভোটে নির্বাচিত হয়ে জেলা পরিষদ স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি হিসেবে সর্বোচ্চ পর্যায়ে সেবাকার্য পরিচালনা করে আসছে।

জেলা গভর্নর, গ্রাম সরকার ও উপজেলা পরিষদ গঠনের সময় দেশের জনসংখ্যা কম-বেশি ৮ থেকে ১০ কোটি ছিল। বর্তমান সময়ে আমাদের হাতে কোন জরিপ পরিসংখ্যান নেই, তবুও অনেকের ধারনা এখন ২০২০ সালে দেশের জনসংখ্যা ১৮ কোটি। ২০৪০ সালে আমরা উন্নত দেশের তালিকায় একটি ঈর্ষণীয় অবস্থানে থাকবো। আবার ২০৫০ সালে দেশের জনসংখ্যা ৩০ কোটি ছাড়িয়ে যাওয়ার ঝুকি রয়েছে। সব দিক বিবেচনায় নিয়ে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নাগরিক অধিকার, চিন্তা-চেতনা, আশা-আকাঙ্খা সর্বোপরি স্থানীয় সরকার এবং প্রশাসনের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এখনই একটি বলিষ্ট সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা অপরিহার্য।

আমরা জানিনা নতুন জেলা স্থাপন করা সরকারের নীতি নির্ধারনের কোন পর্যায়ে আছে বা আদৌ কোনো পর্যায়ে আছে কি-না। অথচ এ নিয়ে কিশোরগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় পক্ষে- বিপক্ষে মাঠ পর্যায়ে আলোচনা আছে। প্রস্তাবিত নতুন জেলা ঘোষণার পক্ষে-বিপক্ষে কিছু যুক্তি আছে এতে কোনো সন্দেহ নেই। তবু বাস্তবতার নিরিখে নির্মোহ চিত্তে¡ বলা আবশ্যক সংশ্লিষ্ট উপজেলা সমূহের বৃহৎ জনগোষ্ঠির মতামতকে উপেক্ষা করে মনগড়া কিছু করা হলে তা হবে এ সময়ের একটি বড় হঠকারী সিদ্ধান্ত। এখানে গভীরভাবে ভাবতে হবে যে ভৈরব বাজার একটি বহু প্রাচীন বাণিজ্যিক বন্দর এলাকা, যে কোন বাণিজ্যিক বা বন্দর এলাকা অন্য সব সামাজিক ও প্রশাসনিক অঞ্চল থেকে বৈশিষ্ট্যগত ভাবে ভিন্ন হয়। এমন ছোট-বড় বহু নজির আমাদের চারপাশে রয়েছে। ভৈরববাসীর আবেগ-অনুভূতির প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা রেখে বলা যায় যে ভৈরবের বর্তমান বৈশিষ্ট্য ভৈরববাসীর জন্য যেমন গর্বের বিষয় তেমনি জেলা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে একটি অন্তরায়ও বটে। অবশ্য এ কথাও মনে রাখতে হবে অন্তরায় কঠিন হলেও অতিক্রমন অসাধ্য নয়।

আমরা বর্তমান ও নিকট ভবিষৎ জনসংখ্যার কথা বিবেচনায় নিয়ে বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণের কথা ভাবতে পারি। আর্থ-সামাজিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে নতুন কর্মক্ষেত্র সৃষ্টি ও প্রশাসনকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানোর প্রচেষ্ঠাকে কার্যকর করতে হলে সকল অঞ্চলের জনগণের স্বার্থকে প্রাধান্য দিতে হবে। কোন একটি বিশেষ অঞ্চল বা গোষ্ঠী প্রাধান্য পেলে তা সামগ্রিক ভাবে মঙ্গল এর পরিবর্তে অমঙ্গলকে আহবান করবে। কোনো জেলাকে খন্ডিত করে তার কোনো অংশ বিশেষকে জেলায় রূপান্তর করার লক্ষ্য যদি জনকল্যাণ হয়, তবে তা কোনো একক অঞ্চলের নামে না করে মডেল জেলা হিসেবে ঘোষণা করা যায়। অনুধিক ৪টি উপজেলাকে মডেল জেলায় অন্তর্ভূক্ত করে পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন কার্যালয় অন্তর্ভূক্ত উপজেলা সমূহে স্থাপন করা অধিকতর কল্যাণকর হবে। পরীক্ষামূলক ভাবে নিকলী, বাজিতপুর, কুলিয়ারচর ও ভৈরব উপজেলা নিয়ে মডেল জেলা-১ প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে। অনুরূপ ভাবে হাওর এলাকা ইটনা, মিঠামইন, অষ্টগ্রাম নিয়ে মডেল জেলা-২, কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া-হোসেনপুর নিয়ে মডেল জেলা-৩, কিশোরগঞ্জ সদর- করিমগঞ্জ- তাড়াইল নিয়ে মডেল জেলা-৪ নির্ধারণ করা যেতে পারে। জেলা প্রশাসক কার্যালয়, আদালত, পুলিশ প্রশাসন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, বাণিজ্য, উন্নয়ন ইত্যাদি জেলা কার্যালয় সমূহ গুরুত্ব বিবেচনায় উল্লেখিত সংশ্লিষ্ট উপজেলায় স্থাপন করা যায়। এতে সকল এলাকায় উন্নয়নে সমতা ও ন্যায্যতা রক্ষা হবে। বিকল্প এ ধারনাটি দৃঢতার সাথে বাস্তবায়িত হলে সার্বিক উন্নয়নে রোলমডেল হিসেবে দেখা যাবে। একই সঙ্গে প্রয়োজনীয় সংস্কার সাপেক্ষে জেলা পরিষদও অনুরূপ ভাবে মডেল জেলায় রূপান্তর করতে হবে। এতে সংস্কার মূলক আধুনিক ব্যবস্থাপনায় সকল এলাকা সমভাবে উন্নয়নের সিড়িতে পা রাখবে, বিরোধিতার পরিবর্তে নিজ নিজ এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে জন-সমর্থনও জোরদার হবে।

এখানে উল্লেখ্য যে, ঢাকা সিটি করপোরেশনকে দ্বিখন্ডিত করার সময়ে অনেক আপত্তি-প্রতিবাদ উত্থাপিত হয়েছিল, কিন্ত এখন এটি একটি আশাব্যঞ্জক প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপে এক সময় হয়তো আমাদের আইডেন্টিটি থানা বা উপজেলা দ্বিখন্ডিত করার প্রয়োজন দেখা দিবে।

অখন্ড কিশোরগঞ্জ আমাদের আবেগ, অনুভূতি ও ভালোলাগা। এ ভালোলাগার মূল্য অন্যরকম। আমরা যারা বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলার বাসিন্দা ছিলাম তাদের প্রত্যেকের অহং বোধ ছিল বৃহত্তর জেলার বাসিন্দা হওয়ার কারণে। সময়ের শাসনে ময়মনসিংহ জেলা খন্ডিত হতে হতে ক্ষুদ্র কয়েকটি জেলায় রূপান্তর হয়েছে, কিশোরগঞ্জ জেলা তন্মধ্যে একটি। আমাদের ভাবনার জায়গাটি কিছুটা পরিবর্তন করলে দেখবো আমরা দিনে দিনে আকারে ছোট হলেও আমাদের অস্থিত্ব আগের তুলনায় অনেক শক্ত। বর্তমানে জনসংখ্যার কথা বিবেচনায় নিয়ে যৌক্তিক কারণে প্রস্তাবিত মডেল জেলা প্রতিষ্ঠার নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন জোরদার করা সময়ের দাবী। কিশোরগঞ্জ জেলাকে কয়েকটি মডেল জেলায় রূপান্তর করে আগামী প্রজন্মের জন্য একটি মজবুত যুগোপযোগী প্রশাসনিক কাঠামো বিনির্মান করা দরকার। এ কঠিন কাজটি করতে যে কোন সময়ের তুলনায় বর্তমানে আমরা অনেক বেশি সামর্থবান।

আমরা এখন একটি কঠিন সময় পাড় করছি। কোভিড-১৯ মহামারী করোনায় বাংলাদেশ আজ মহা সংকটে, উপরোন্ত বন্যা-প্রলয়ে জনজীবন ক্ষতিগ্রস্ত। দেশের এ সংকটকালীন সময়ে জেলার দাবীতে বা বিরোধিতায় এমন কোন পদক্ষেপ নেয়া যাবেনা যা সন্ত্রাসের সুযোগ সৃষ্টি করে দিবে। এখানে স্পষ্টতই বলা যায় সরকার বা রাজনৈতিক যে কোন অবস্থান থেকে এমন কিছু বলা বা করা যাবেনা যা বর্তমান সংকটকে আরো ঘনিভূত করবে। দায়িত্বশীল অবস্থানে থেকে অতিউৎসাহিত হওয়ার সুযোগ নেই, এটা আমাদের প্রত্যেকের মনে রাখা দরকার।

-শেখ জহির উদ্দিন, সংস্কৃতি কর্মী, ইমেইলঃ sheikh.zahir.kuli@gmail.com

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *