নিজস্ব সংবাদদাতা : কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার উছমানপুর ইউনিয়নের পূর্ব ভাগলপুর ঈদগাহ মাঠের নামে ওয়াকফকৃত জায়গা (পুকুর) মসজিদ কমিটির কাছ থেকে লিজ নিয়ে, ভূয়া কমিটি বানিয়ে ৬ বছর ধরে ঈদগাহ পুকুর দখল করার অভিযোগ উঠেছে সাবেক স্থানীয় মেম্বার মজলু মিয়ার বিরুদ্ধে। এ বিষয়টি বর্তমানে তদন্ত করছেন কিশোরগঞ্জ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ।
জানা যায়, ২০১৩ সালে মসজিদ কমিটির কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা বাৎসরিক মূল্যে তিন বছরের জন্য লিজ নেয় শাহ কালাম। শাহ কালামের তিন বছর লিজের সময় শেষ হওয়ায় ৪ মাস পূর্বে ২০১৫ সালের শেষ দিকে শাহ কালামের কাছ থেকে কৌশলে ভাড়া নেয় সাবেক মেম্বার মজলু মিয়া। এরপর তিনি পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ভূয়া কমিটি বানিয়ে, কমিটির সদস্যদের সাইন নকল করে বাংলাদেশ ওয়াকফ প্রশাসকের কার্যালয় থেকে লিজ নিয়েছে মর্মে পুকুরটি ভোগদখল করে আসছে। এই বিষয়ে তার ভূয়া কমিটির সকল সদস্য তাদেরকে অবগত না করে কমিটিতে তাদের নাম ব্যবহার করায় ও তাদের সাইন নকল করার অভিযোগে কুলিয়ারচর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন এবং সরজমিনে কমিটির কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি মর্মে কুলিয়ারচর উপজেলা ভূমি অফিস থেকে একাধিক বার জেলা প্রশাসক বরাবর নোটিশ জারি করা হয়েছে।
এ নিয়ে মজলু মিয়ার গঠিত কমিটির সদস্যরা বলেন, মজলু মিয়া আমাদের নাম ব্যবহার করে ও সাইন নকল করে এলাকাবাসী ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে গিয়ে যেভাবে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের জায়গা নিজের দখলে রেখেছে এটি অত্যন্ত নিন্দনীয় এবং আমাদের না জানিয়ে আমাদের নাম ব্যবহার করে ও সাইন নকল করে যে জালিয়াতি করেছে, তার উপযুক্ত বিচার চাই।
এ বিষয়ে মজলু মিয়া বলেন, আমার কাছে ওয়াকফ অফিসের বৈধ কাগজ আছে। কাগজ মূলেই পুকুর ভোগ করছি।
এ বিষয়টি তদন্ত করছেন কিশোরগঞ্জ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক ইমরান খান ।
তিনি এ প্রতিনিধিকে জানান, এ বিষয়টি সম্পর্কে তদন্ত চলমান রয়েছে । তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা যাবে ।