নিজস্ব সংবাদদাতা : কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে স্বামীর বিরুদ্ধে তার ঘুমন্ত স্ত্রী রহিমা বেগমকে (৪৬) কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আজ রবিবার সকালে উপজেলার মসুয়া ইউনিয়নের পংমসুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় দায়ের কোপে তার ছোট মেয়ে মারিয়া জখম হয়। স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে পুলিশ স্বামী রতন মিয়াকে আটক করেছে। একই সঙ্গে রক্তমাখা দা’টিও উদ্ধার করেছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, গ্রামের মৃত জাফর আলীর ছেলে রতন মিয়ার সঙ্গে বেশ কিছুদিন ধরে স্ত্রী রহিমা বেগমের কলহ চলছিল। সাহরি খেয়ে ছোট মেয়েকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন রহিমা। এ সুযোগে ভোর ৬টার দিকে দা নিয়ে স্ত্রীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে রতন মিয়া। এলোপাতাড়ি দায়ের কোপে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান রহিমা। তখন মাকে রক্ষা করতে গিয়ে ১১ বছর বয়সী মেয়ে মারিয়াও জখম হয়। ঘটনার পর রতন মিয়া ঘর থেকে পালিয়ে গেলে স্থানীয় লোকজন রাস্তা থেকে তাকে ধরে পুলিশের সোপর্দ করে।
এলাকাবাসী জানায়, তাদের দুই ছেলে দুই মেয়ে। বড় মেয়ের বিয়ে হয়েছে। এক নাতিও আছে। দুই ছেলে ঢাকায় থাকে। আহত ছোট মেয়েটি ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। স্থানীয়রা জানায়, রতন মিয়া পাগলাটে ধরনের লোক। এর আগেও তিনি তার একটি গরু কুপিয়ে মেরে ফেলেছিলেন। নিজের বাড়িঘর বিনষ্ট করেছিলেন।
মসুয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক জানান, রতন মিয়া একজন মানসিক ভারসাম্যহীন। বছরের অর্ধেক সময় পাগল অবস্থায় থাকে। তখন কারো সাথে কথাবার্তা না বলে খুব গম্ভীর থাকে। দীর্ঘদিন ধরে তার এ অবস্থা চলে আসছে।
কটিয়াদী মডেল থানার ওসি এম এ জলিল বলেন, লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ সদও হাসপতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।