সর্বশেষ
প্রচ্ছদ / হাওরাঞ্চল / কিশোরগঞ্জ / মামা সৈয়দ আশরাফকে নিয়ে ভাগ্নির স্মৃতিচারণ

মামা সৈয়দ আশরাফকে নিয়ে ভাগ্নির স্মৃতিচারণ

নিজস্ব সংবাদদাতা : আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে তাকে স্মরণ করেছেন তার ভাগ্নি ব্যারিস্টার ফারাহ খান। শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) তিনি তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে স্মৃতিচারণমূলক একটি স্ট্যাটাস দেন।

হাওর বাংলা পাঠকদের জন্য স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো-
‘কিছু কিছু মানুষকে দল মতের উর্ধে থেকে ভালবাসা যায়। তেমনই একজন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। একজন সৈয়দ আশরাফের পূরণ বাংলাদেশের রাজনীতিতে আর কোন দিন হবে না। আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় ক্ষতি সৈয়দ আশরাফের মত একজন কিংবদন্তি নেতার মৃত্যু। আর বিএনপি সহ অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সবচেয়ে বড় বর্থ্যতা দলের মধ্যে সৈয়দ আশরাফের মত সর্বজনীন একজন রাজনীতিবিদ তৈরী করতে না পারা।

যদিও জানি সবাই একদিন চলে যাবো, তবুও কিছু কিছু বিদায় মেনে নিতে পারিনা, মনে ভীষণ কষ্ট হয়। আপনার চলে যাওয়া আমাকে ভীষণ কষ্ট দিয়েছে আশরাফ মামা। আপনাকে সব সময় বাংলাদেশের ভাল করতে এবং চিন্তা করতেই দেখেছি। অনেক গুরুত্বপূর্ণ জিনিস শিখেছি আপনার কাছ থেকে আর যে বিষয়গুলো শিখা হলোনা সেগুলো অপূর্ণই থেকে গেল!


এই ছবিটিগুলো আশরাফ মামা মারা যাওয়ার কয়েকদিন আগে উনার লন্ডনের বাসায় তোলা।

মামা/মামী দুইজনই আমায় ভীষণ স্নেহ করতেন। মামা লন্ডনে আসার আগে বাংলাদেশ থেকেই বলতেন উনি কবে আসবেন। আমি সময় করে প্রায়ই যেতাম মামা, মামী ও পরিবারের সাথে সময় কাঁটাতে।

আজ আমার অত্যন্ত প্রিয় সৈয়দ আশরাফ মামার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী। দোয়া করি যেখানেই থাকুক ভাল থাকুক।’

প্রসঙ্গত, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম গত বছরের ৩ জানুয়ারি রাত সাড়ে নয়টার দিকে থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর সময় তার তার বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর। এরআগে ২০১৮ সালের ৩ জুলাই ওই হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয় এবং প্রায় দীর্ঘ ছয় মাস চিকিৎসাধীন ছিলেন।

সৈয়দ আশরাফ আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সে সময় তার বলিষ্ঠ ও কৌশলী নেতৃত্বগুণে দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা কারামুক্তি লাভ করেন। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের সাধারণ নির্বাচন আদায় এবং সে নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ভূমিধস বিজয় লাভে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। পরবর্তীতে তিনি দুবার দলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া তিনি বিভিন্ন সময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতিমন্ডলীর সদস্য পদে ছিলেন।
মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশ সরকারের অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলামের সন্তান চার ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে সবার বড় ছিলেন সৈয়দ আশরাফ। ভারতীয় জেনারেল উবান স্বাধীনতা যুদ্ধ নিয়ে তার বইয়ে তরুণ মুক্তিযোদ্ধা আশরাফের কথা বলেছিলেন।

কিশোরগঞ্জ সদর আসনের টানা পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে নীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং জনপ্রশাসন বিভাগের মন্ত্রী এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের স্ত্রী শীলা ইসলাম লন্ডনে শিক্ষকতা করতেন। ২৩ অক্টোবর ২০১৭ সালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তার একমাত্র মেয়ে রীমা ইসলাম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *