সর্বশেষ
প্রচ্ছদ / হাওরাঞ্চল / কিশোরগঞ্জ / অন্ত:সত্ত্বা স্ত্রীর মরদেহ হাসপাতালে রেখে পালিয়েছে স্বামী

অন্ত:সত্ত্বা স্ত্রীর মরদেহ হাসপাতালে রেখে পালিয়েছে স্বামী

মাসুক হৃদয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : দুই মাসের অন্ত:সত্ত্বা স্ত্রীর মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ফেলে রেখে চম্পট দিয়েছেন স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকেরা।

বুধবার বিকেলে মরদেহটি ফেলে রাখার পর সন্ধ্যা সাতটার দিকে পুলিশ এটি উদ্ধার করে।

নিহত গৃহবধু দীপান্বিতা দেবনাথ ওরফে মম্পি (২৬), কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলার বাঙ্গালপাড়া ইউনিয়নের ওসমানপুর গ্রামের পল্লী চিকিৎসক পরিতোষ দেবনাথের একমাত্র মেয়ে।

মেয়ের মরদেহ হাসপাতালে ফেলে রাখার খবরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছুটে আসেন বাবা পরিতোষ। হাসপাতালের মর্গের সামনে বিলাপ করতে করতে তিনি জানান, চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি একই এলাকার অপূর্ব রায়ের সঙ্গে বিয়ে হয় মম্পির। চাকুরির সুবাদে স্বামী অপূর্ব ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের পূর্ব পাইকপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় পরিবারের অন্য সদস্যদের নিয়ে বসবাস করতেন। বিয়ের পর থেকেই স্বামীর সঙ্গে তার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মনোমালিন্য চলছিল। এর জের ধরেই স্বামী ও শ্বাশুড়ি মিলে তাকে হত্যা করে হাসপাতালে লাশ রেখে পালিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

ভিকটিমের আত্মীয় সরাইলের বাসিন্দা মালা দেবনাথ জানান, মম্পি অসুস্থ বলে তার স্বামী অপূর্ব বিকেলে তাকে হাসপাতালের ১০৩ নম্বর ইসিজি কক্ষে নিয়ে আসে। এসময় অপূর্ব ও তার স্বজনেরা হাসপাতাল স্টাফদের জানায়, মম্পি ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক শাখাওয়াত হোসেন তাকে মৃত ঘোষণা করার পর অপূর্বসহ তার স্বজনেরা সটকে পড়েন। পরে বিষয়টি জানতে পেরে তারা থানায় খবর দেন।

মরদেহের সুরতহালকারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তারেক সুমন জানান, নিহতের গলায় আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। তবে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা তা প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা সম্ভব নয়। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *