সর্বশেষ
প্রচ্ছদ / হাওরাঞ্চল / কিশোরগঞ্জ / শোলাকিয়ায় সৈয়দ আশরাফের জানাজায় জনসমুদ্র

শোলাকিয়ায় সৈয়দ আশরাফের জানাজায় জনসমুদ্র

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাবেক সাধারণ সম্পাদক, মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের নামাজে জানাজায় অংশ নিতে তার জেলা কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দান জনসমুদ্রে পরিণত হয়। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ছাড়াও দূর-দূরান্ত থেকে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ যোগ দিয়েছেন এই জানাজায়।

সংসদ ভবনে প্রথম জানাজা শেষে হেলিকপ্টারযোগে রোববার দুপুর সোয়া ১ টার দিকে তাঁর মরদেহ কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে আসে। এখানে আশরাফের নির্বাচনী এলাকাসহ জেলা আওয়ামী লীগ ও সর্বস্তরের জনতার অংশগ্রহণে দ্বিতীয় জানাজা জানাজা সম্পন্ন হয়। সকাল থেকেই শোলাকিয়া ময়দানে জনসমাগম বাড়তে থাকে। বেলা ১২টা নাগাদ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় শোলাকিয়া ময়দান।

শোলাকিয়ায় আগত শোকাহত নেতা-কর্মীরা জানান, তারা প্রিয় নেতাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে এবং তার জানাজায় অংশ নিতে এসেছেন। প্রিয় নেতার স্মরণে কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের সব দোকান-পাট বন্ধ রয়েছে। কালো ব্যাজ ধারণ করেছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ প্রিয় এই নেতার শুভানুধ্যায়ীরা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল​-আলম হানিফ,  বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন, কিশোরগঞ্জ -৪ আসনের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহীবুল হাসান চৌধুরী নওফেল,  জেলা প্রশাসক সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী, পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ, সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের একমাত্র মেয়ে সৈয়দা রীমা ইসলাম, তিন ভাই মেজর জেনারেল অব. সৈয়দ শাফায়াতুল ইসলাম, ড. সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম, ড. সৈয়দ শরীফুল ইলাম, দুই বোন ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি ও সৈয়দা রাফিয়া নূর রুপাসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় প্রথম নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়।  জানাজা শেষে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামেকে গার্ড অব অনার দেয়া হয়। পরে তার মরদেহে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স সংসদ ভবন চত্বরে আনা হয়।  সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের জানাজায় রাষ্ট্রপতি ছাড়াও অংশ নেন আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা।

তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে বেলা ২টায় ময়মনসিংহের আঞ্জুমান ঈদগাহ মাঠে। এরপর হেলিকপ্টারযোগে সৈয়দ আশরাফের মরদেহ ফের ঢাকায় আনা হবে। বিকেলে বনানী কবরস্থানে সৈয়দ আশরাফ চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন।

বৃহস্পতিবার রাতে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সৈয়দ আশরাফ মারা যান। শনিবার (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় তার মরদেহ দেশে আনা হয়।

এরপর শনিবার সন্ধ্যা সাতটায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মরদেহ অ্যাম্বুলেন্সে করে রাজধানীর বেইলি রোডে সৈয়দ আশরাফের সরকারি বাসভবনে নেয়া হয়। সেখানে প্রিয় নেতাকে শেষবারের মতো দেখতে আসেন আত্মীয়-স্বজন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, শুভাকাঙ্ক্ষী ও সাধারণ মানুষ। সেখান থেকে রাতেই মরদেহ সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *