সর্বশেষ
প্রচ্ছদ / হাওরাঞ্চল / কিশোরগঞ্জ / বিন্নাটি আবদুল মজিদ উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযোগ

বিন্নাটি আবদুল মজিদ উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক : কিশোরগঞ্জ সদরের বিন্নাটি আবদুল মজিদ উচ্চ বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি জুবায়ের আলম ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু বক্কর সিদ্দিকের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।

গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে কিশোরগঞ্জ শহরের গৌরাঙ্গবাজার এলাকায় স্টার মিডিয়া কর্নারে এসে সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ করেন অভিভাবকরা। এর আগে গত সোমবার দিন সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের দুর্নীতির অভিযোগে বিদ্যালয়ের অভিভাবক মো. সুলতান মিয়াসহ অন্তত ৩০জন অভিভাবকের যৌথ স্বাক্ষরিত অনিয়ম ও দুর্নীতির অন্তত ছয়টি দৃষ্টান্ত উল্লেখ করে একটি অভিযোগপত্র জেলা প্রশাসকের কাছে দেওয়া হয়। যার অনুলিপি জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকেও দেওয়া হয়েছে।

লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার পৌরসভা ব্যতিত অন্য যে কোনো বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার ফি বাবদ সর্বোচ্চ ২২৫টাকা নেওয়া হয়। কিন্তু এ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে ৩০০টাকা। যেখানে অন্য বিদ্যালয়ে ৮ম শ্রেণির পরীক্ষা ফি বাবদ নেওয়া হচ্ছে ২৭০টাকা সেখানে এ বিদ্যালয়ে নেওয়া হচ্ছে ৩৫০টাকা। যাহা কি না অনৈতিক। এ বিদ্যালয়ের ভবন তহবিলের নামে বাধ্যতামূলকভাবে অভিভাবকদের সম্মতি ব্যতিত ও শিক্ষার্থীদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে ৪৮০টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। বিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ২০০ বড় গাছ অবৈধভাবে ব্যক্তিগত লাভবানের উদ্দেশ্যে কাটা হয়েছে। এবং বিদ্যালয়ের তিনটি পুকুর ও প্রায় এক একর জমি কোনো রকম ডাক ছাড়াই গোপনীয়ভাবে ব্যক্তিগত লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে অবৈধভাবে লিজ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য একটি প্রকাশনীর বই বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এ বইয়ের গুণগত মান নিয়ে শিক্ষার্থীদের আপত্তি থাকা সত্বেও তাঁদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কিনতে বাধ্য করা হচ্ছে। এবং এর আগেও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কোচিং ফি বাবদ বাধ্যতামূলক টাকা নেওয়া হতো। যা শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের তোপের মুখে বিদ্যালয়ের কোচিং বন্ধ করতে হয়েছে।

তবে এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক আবু বক্কর সিদ্দিক অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এসব অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। অভিযোগ দেওয়ার আগে অভিভাবকদের অন্তত তাঁর কাছে আসা উচিৎ ছিল। তাহলে তিনি বিষয়টি তাঁদের বুঝিয়ে দিতে পারতেন। এদিকে সভাপতি জুবায়ের আলম বলেন, এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ বানোয়াট ও প্রতিহিংসামূলক। একটি মহল নিজেদের স্বার্থের জন্য এসব করাচ্ছে। তবে তদন্তের মাধ্যমেই তিনি যে নির্দোষ এর সত্যতা প্রমাণিত হবে।

এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী বলেন, তিনি অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত সঠিক ব্যবস্থা নিবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *