সর্বশেষ
প্রচ্ছদ / বাংলাদেশ / অর্থ-বাণিজ্য / অর্থনৈতিক উন্নয়নে সমৃদ্ধ নগরীতে রুপ নিয়েছে সিরাজগঞ্জ

অর্থনৈতিক উন্নয়নে সমৃদ্ধ নগরীতে রুপ নিয়েছে সিরাজগঞ্জ

নিউজ ডেস্ক : সিরাজগঞ্জ জেলার অধিকাংশ লোক কৃষির উপর নির্ভরশীল। কৃষির উপর নির্ভরশীল হলেও বর্তমান সরকারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এ জেলা শিল্পায়নের ক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই। বিশেষ করে তাঁত সমৃদ্ধ এলাকা হিসেবে এ জেলা প্রসিদ্ধি লাভ করেছে। তাঁত শিল্পের আওতায় বিভিন্ন ধরণের হ্যান্ডলুম ও পাওয়ারলুম শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। এ ছাড়াও এ জেলায় আরও নতুন নতুন শিল্প কারখানা গড়ে উঠেছে। তাই সিরাজগঞ্জ জেলা শিল্পায়নের ক্ষেত্রে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিক ইচ্ছায় অর্থনৈতিক উন্নয়নে আজ সমৃদ্ধ নগরীতে রুপ নিয়েছে সিরাজগঞ্জ।
সম্প্রতি জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে উন্নয়নের অগ্রগতির পর্যালোচনায় এসব তথ্য উঠে আসে।
জেলা প্রশাসন বলছে, ‘বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতু’ চালু হওয়ায় পূর্ব পশ্চিমাঞ্চলের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নের মাধ্যমে এই জেলায় বিদ্যুত, গ্যাস প্রাপ্তি সহ সড়ক ও নৌ পথে পরিবহন ব্যবস্থায় এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। ফলে এ জেলায় শিল্পায়নের এক নতুন দিগন্ত সৃষ্টি হয়েছে। সরকারের উদার শিল্পনীতি, বেসরকারি উদ্যোগের প্রতি দৃঢ় সমর্থন, সর্বাত্মক ভূমিকা থাকায় সিরাজগঞ্জ জেলায় শিল্পায়ন প্রক্রিয়ায় এক গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন সাধন অব্যাহত রয়েছে। বহু নতুন নতুন উদ্যোক্তা এ জেলায় শিল্প স্থাপনে এগিয়ে আসছেন। বর্তমান সরকার এ সকল উদ্যোক্তাদের অবকাঠামো সুবিধা দেয়ায় অনেক নতুন শিল্প কারখানা গড়ে উঠেছে।
শিল্প মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ মোতাবেক সিরাজগঞ্জ বিসিক শিল্প নগরী সম্প্রসারণে ১২.৬৬ একর জমির অধিগ্রহণ করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু সেতুর ২.৫০ কিলোমিটার পশ্চিমে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় ৪০০ একর জমির উপর ২০০ কোটি টাকা প্রকল্প ব্যয়ে শিল্প পার্ক স্থাপনের জন্য একনেক সভায় অনুমোদন করা হয়। ইতোমধ্যেই প্রকল্পের সাইট অফিস নির্মাণ, আসবাবপত্র, অফিস সরঞ্জামাদি, যানবাহন ক্রয়সহ লোকবল নিয়োগ করা হয়েছে। শিল্প পার্ক প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ক্ষুদ্র ও মাঝারি আকারে ৫৬০ টি শিল্প স্থাপন এবং ১ লক্ষ লোকের কর্মসংস্থান হবে। সিরাজগঞ্জ তথা দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে উন্মোচিত হবে নতুন দিগন্ত।
সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন খাতের উন্নয়নের জন্য বিআইডব্লিউটিএ বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে। যার অংশ হিসেবে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলায় বড়াল নদীর তীরে স্থাপিত হয়েছে বাঘাবাড়ি নদীবন্দর। বাঘাবাড়ি নদীবন্দরের পেট্রোলিয়াম ডিপো থেকে পেট্রোলিয়াম জাতীয় দ্রব্য এবং সার সরবরাহের মধ্য দিয়ে কোটি কোটি টাকার লেনদেন হচ্ছে। এই বন্দরটি সিরাজগঞ্জের অর্থনীতিতে বিরাট ভূমিকা রাখছে।
এছাড়াও ৩টি বিসিক সেন্টার হতে তাঁতীদের জন্য ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি প্রকল্পের আওতায় ৩,৮৫০ জন তাঁতীর মধ্যে ৬ কোটি ৬৪ লক্ষ টাকা ঋণ প্রদান করা হয়েছে। উক্ত ঋণ কার্যক্রম ১৯৯৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের আমল থেকে শুরু হয়ে বর্তমানেও চলমান রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *