প্রযুক্তি আমাদের জন্য আশীর্বাদ স্বরূপ। আবার অনেক সময় প্রযুক্তিই আমাদের জন্য হু বিশেষ করে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকের প্রতি অনেকেই আসক্ত হয়ে পড়েছে। আর বিষয়টি আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায় যখন শিশুরাও ফেসবুক ব্যবহার করা শুরু করে।
১৮ বছরের নিচের শিশুদের জন্য ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খোলার নিয়ম নেই। তবুও মিথ্যে বয়স দিয়ে অনেকেই ব্যবহার করছে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট। সৌখিন ব্যবহারকারীরা অনেক সময় শিশুর জন্মের পরপরই ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে ফেলেন স্মৃতিগুলো ধরে রাখার জন্য। একটু বড় হয়েই শিশুরা সেসব অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করা শুরু করে।
বিশ্বব্যাপী অনেক অনলাইন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের সন্তানরাও ফেসবুক ব্যবহার করে। নিজেদের সন্তানদের অভিজ্ঞতা থেকেই বিশেষজ্ঞরা অন্যান্য অভিভাবকদের কিছু পরামর্শ দিয়ে থাকেন। ইউনিসেফ বাংলাদেশ এর ওয়েবসাইটের একটি ফিচারে লেখক এস আর করিম সেই পরামর্শ গুলো তুলে ধরেছেন।
প্রাইভেসি ঠিক করুন: আপনার সন্তান যখন ফেসবুক ব্যবহার করে তখন তার সঙ্গে বসুন। তার প্রাইভেসি সেটিং-এ ঢুকে সব ঠিক আছে কিনা দেখুন। তার ছবি, তথ্য, ঠিকানা কারা দেখতে পায় সেটা দুজনে মিলে ঠিক করে নিন। তাকে বুঝিয়ে বলুন কোন তথ্যগুলো কখনোই অপরিচিতদের জানাতে হয় না সেই সম্পর্কে।
‘চেক ইন’ নয়: আপনার সন্তানের প্রোফাইল থেকে পারতপক্ষে ‘চেক ইন’ দিবেন না। এমনকি সন্তানকে নিয়ে কোথাও যাওয়ার আগে বা গিয়ে আপনার প্রোফাইল থেকেও ‘চেক ইন’ না দেয়াই ভালো। ফেসবুকে দেয়া এসব তথ্য অপরিচিতদের কাছে গেলে নিরাপত্তার ঝুঁকি হতে পারে। ‘চেক ইন’ করলেও তক্ষনি না বরং কয়েক ঘণ্টা পরে করুন। তবে সন্তানের স্কুলের বিষয়ে কোনো তথ্য ‘চেক ইন’-এ না জানানোই ভালো।
অপরিচিতদের ‘অ্যাড’ নয়: পরিচিত না হলে ‘ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট’ পাঠালেও বন্ধু বানানো যাবে না। বিষয়টি সন্তানকে বুঝিয়ে বলুন। প্রয়োজনে প্রোফাইল ভালো করে যাচাই করে নিন যেন পরিচিতজনের চেহারা দিয়ে তৈরি ‘ফেইক প্রোফাইল’ এর কবলে না পড়ে আপনার সন্তান।
বন্ধুদের খোঁজ নিন: সন্তান কাকে বন্ধু বানাচ্ছে সেই দিকে খেয়াল রাখুন। বন্ধু তালিকাটি যতটা সম্ভব ছোট রাখতে বলুন। সন্তানের কাছের বন্ধুদের সম্পর্কে জানার চেষ্টা করুন। যাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করছে, তাদের বাসার ঠিকানা, মোবাইল নম্বর নিয়ে রাখুন। সম্ভব হলে তাদের বাবা-মায়ের সাথেও পরিচিত হয়ে নিন।