নিজস্ব সংবাদদাতা : কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর, করিমগঞ্জ, বাজিতপুর, কুলিয়ারচর, নিকলী ও মিঠামইন এ ছয় উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করা হচ্ছে। এর আগে কিশোরগঞ্জের সদর, ভৈরব, অষ্টগ্রাম, কটিয়াদী ও পাকুন্দিয়া এই পাঁচ উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছিল।
আজ সোমবার (৭ আগস্ট) দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ জানান, বুধবার (৯ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এসব উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করবেন। ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণার জন্য নির্ধারিত নতুন ছয়টি উপজেলায় মোট ১০৩১টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। এর মধ্যে হোসেনপুর উপজেলায় ৮২টি, করিমগঞ্জ উপজেলায় ১৫২টি, বাজিতপুর উপজেলায় ১৬৩টি, কুলিয়ারচর উপজেলায় ১৪৩টি, নিকলী উপজেলায় ১৩২টি ও মিঠামইন উপজেলায় ৩৫৯টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার রয়েছে।
সর্বশেষ ৪র্থ পর্যায়ের ২য় ধাপে হোসেনপুর উপজেলায় ২২টি, করিমগঞ্জ উপজেলায় ১২টি, বাজিতপুর উপজেলায় ৩২টি, কুলিয়ারচর উপজেলায় ৩৬টি, নিকলী উপজেলায় ২০টি ও মিঠামইন উপজেলায় ১২টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়।
এছাড়া জেলার ১৩টি উপজেলার মধ্যে বাকি দুটি উপজেলা ইটনা ও তাড়াইলকে ভূমিহীন-গৃহহীনমুক্ত উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
বুধবার (৯ আগস্ট) জেলার ৮টি উপজেলার ২৭২টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান করা হবে। এর মধ্যে তাড়াইল উপজেলায় ৪৬টি ও ইটনা উপজেলায় ৯২টি পরিবারকে গৃহ প্রদান করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পর উপকারভোগীদের মাঝে জমির কবুলিয়ত দলিল, নামজারী এবং সনদ হস্তান্তর করা হবে। এর ফলে জেলায় মোট ২৭৫৮টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মধ্যে এখন মোট ২৪৮৩টি পরিবার পুনর্বাসনের আওতায় এসেছে।
এছাড়া এই প্রকল্পের আওতায় ব্যারাক হাউস নির্মাণের মাধ্যমে ইটনা উপজেলার আড়ালিয়া ও মজলিশপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পে মোট ২৭০টি পরিবারকে পুনর্বাসিত করা হয়েছে এবং ৫টি পরিবারকে অন্যান্য পুনর্বাসনের (উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে) মাধ্যমে পুনর্বাসন করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ আারো জানান, প্রকল্পের ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে সরকারি খাস জায়গা কিংবা দখল হওয়া জায়গা দখলমুক্ত করে। কিশোরগঞ্জ জেলায় ২০২০ সাল হতে অদ্যাবধি আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় একক গৃহ নির্মাণের জন্য প্রায় ৬৬.৯৮ একর খাস জমি উদ্ধার করা হয়েছে যার আনুমানিক বাজারমূল্য ৯৫ কোটি ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এছাড়া জেলায় ১১২.৮২ শতক জায়গা ক্রয় করা হয়েছে যার স্থানীয় বাজারমূল্য এক কোটি ৪৭ লাখ ৪২৯০ টাকা।
প্রেস ব্রিফিংয়ে অন্যদের মধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক (উপসচিব) মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রুবেল মাহমুদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এটিএম ফরহাদ চৌধুরী, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।