নিজস্ব সংবাদদাতা : টানা ২৩ ঘন্টা অভিযান চালিয়ে ছিনিয়ে নেয়া সাজাপ্রাপ্ত আসামি সাদ্দাম হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) ও ভৈরব থানা পুলিশের যৌথ টিম। সোমবার (০১ মে) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে ভৈরব উপজেলার শিমুলকান্দি মধ্যের চর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সাজাপ্রাপ্ত আসামি সাদ্দাম হোসেন ভৈরব উপজেলার গোছামারা গ্রামের মোঃ মিয়া হোসেনের ছেলে।
এর আগে সোমবার (০১ মে) সকালে পুলিশ হেফাজত থেকে সাজাপ্রাপ্ত আসামি পালিয়ে যাওয়া ও পুলিশের কাজে বাধা প্রদান এবং মারধরের ঘটনায় ভৈরব থানার এএসআই নাসির বাদী হয়ে সাজাপ্রাপ্ত আসামি সাদ্দাম হোসেনসহ ৮ জনের নামোল্লেখ ও অজ্ঞাত ৫ জনের নামে মামলা দায়ের করেন। মঙ্গলবার (০২ মে) সকালে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোহাম্মদ আল আমিন হোসাইন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোহাম্মদ আল আমিন হোসাইন জানান, ঘটনার পরে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পলাতক সাজাপ্রাপ্ত আসামি সাদ্দাম ও ঘটনার সাথে জড়িতদেরকে দ্রুত গ্রেপ্তার করতে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করার নির্দেশ দেন এবং ডিবি ও থানা পুলিশের টিম গঠন করে অভিযানের তদারকি করেন৷
তিনি জানান, নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি সাদ্দাম হোসেনকে গ্রেপ্তার করতে গত রোববার (৩০ এপ্রিল) দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে ভৈরব থানার এএসআই নাসির উদ্দীন কনস্টেবল রবিউল ও কনস্টেবল আজাদকে সঙ্গে নিয়ে অভিযানে যান। সাদ্দাম হোসেনকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসার সময় তাঁর স্বজনেরা পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে সাদ্দামকে ছিনিয়ে নেন। হামলায় তিন পুলিশ সদস্য আহত হন। ইতিমধ্যে এ ঘটনার সাথে জড়িত ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন, গোছামারা গ্রামের সাজাপ্রাপ্ত আসামি সাদ্দাম হোসেন, তাঁর মা মোছাঃ নাদিরা বেগম (৫৫), বোন মোছাঃ শাহিদা বেগম (৩০) ও মোছাঃ আঁখি বেগম (২৫), ছোট ভাই মোঃ নাজমুল হোসেন (১৫) ও একই গ্রামের মৃত ইছব আলীর ছেলে আলী হোসেন (৫৫)। গ্রেপ্তার আসামিদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।