নিজস্ব সংবাদদাতা : কিশোরগঞ্জের নিকলীতে তিন বছর বয়সী শিশুপুত্রকে হত্যার ঘটনায় আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে মা চাঁদনী আক্তার।
অঅজ শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকালে কিশোরগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাদ্দাম হোসেন ১৬৪ ধারায় চাঁদনী আক্তারের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
নিকলী থানার ওসি মোহাম্মদ মনসুর আলী আরিফ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আসামি চাঁদনী আক্তার শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকালে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। জবানবন্দিতে সে তার শিশু সন্তানকে শ্বাসরোধে হত্যার কথা স্বীকার করেছে।
এর আগে শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকালে উপজেলার জারইতলা ইউনিয়নের সাজনপুর গাছতলা গ্রামে এই শিশুহত্যার ঘটনাটি ঘটে। নিহত শিশুটির নাম জোবায়েত। সে উপজেলার জারইতলা ইউনিয়নের সাজনপুর গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে। ঘাতক মা চাঁদনী আক্তার সাজনপুর গ্রামের মজলু মিয়ার মেয়ে ও একই গ্রামের আব্দুল করিমের স্ত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, চার বছর আগে নিকলী আব্দুল করিমের সঙ্গে চাঁদনীর আক্তারের বিয়ে হয়। বছর তিনেক আগে তাদের একটি ছেলে সন্তান হলে তার নাম রাখা হয় জোবায়েত। বছর খানেক আগে স্বামীর বাড়ি ছেড়ে বাবার বাড়িতে চলে যায় চাঁদনী। একমাত্র সন্তান জোবায়েত বাবার কাছে থাকলেও মাঝে মাঝে সে মায়ের কাছে যেতো। শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জোবায়েত মা চাঁদনী আক্তারের কাছে গেলেও বিকাল পর্যন্ত দাদির বাড়ি ফিরে না আসায় দাদি সুফিয়া বেগম জোবায়েতের খোঁজে চাঁদনী আক্তারের বাড়ি যান। এ সময় চাঁদনী আক্তার তার শাশুড়িকে জোবায়েত চলে গেছে বলে জানান। এরপর খোঁজাখুজি করেও শিশুটিকে কোথাও পাওয়া যাচ্ছিল না। সন্ধ্যার দিকে গ্রামের হামিদ ব্যাপারীর বাড়ির পুকুড় পাড়ে জোবায়েতের লাশ পড়ে থাকতে দেখে মা চাঁদনী আক্তার নিজের দোষ আড়াল করতে কান্নাকাটি শুরু করে দেয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুটির লাশ উদ্ধার এবং হত্যাকাণ্ডে জড়িত অভিযোগে মা চাঁদনী আক্তারকে আটক করে।
এ ঘটনায় শিশুটির বাবা আব্দুল করিম বাদী হয়ে শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে চাঁদনী আক্তারকে আসামি করে নিকলী থানায় মামলা করেছেন।