আলি হায়দার, কুলিয়ারচর প্রতিনিধি : কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে এক কওমি মাদ্রাসার শিক্ষকের বিরুদ্ধে ৮ বছরের এক ছাত্রকে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু এ ঘটনাকে মাদ্রাসার সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ জসিম উদ্দিন ধামাচাপা দেবার চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় সুত্র জানায়, কুলিয়ারচর উপজেলার রামদি ইউনিয়নের ‘আত তালিমুন নববী সা. দারুল উলুম মাদ্রাসা। এ মাদ্রাসায় লেখাপড়া করেন খালখাড়া-কোনাপাড়া গ্রামের মো. লিটন মিয়ার ছেলে জাহিদ হাসান (৮)। সোমবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে মাদ্রাসায় যেতে দেরি হওয়ায় জাহিদকে বেত দিয়ে বেধড়ক পিটিয়েছে মাদ্রাসার শিক্ষক ক্বারি মোঃ খাইরুল ইসলাম। এর আগেও মাদ্রাসার ওই শিক্ষক নানা অজুহাতে মাদ্রাসার ছাত্রদের বেত্রাঘাত করে। কিছুদিন আগেও এক ছাত্রকে পিটিয়ে ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। আর এসব ঘটনাকে ধামাচাপা দেয় মাদ্রাসার সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ জসিম উদ্দিন। এ ঘটনাটিকেও মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও জনতা ফুড প্রোডাক্টস এর সত্ত্বাধিকারী আলহাজ্ব মো. জসিম উদ্দিন ভূইয়াসহ স্থানীয় প্রভাবশালী একটি মহল ও মাদ্রাসার শিক্ষকদের নিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেবার চেষ্টা করে।
এদিকে নূরানী বিভাগের ছাত্র জাহিদ হাসান বলেন, ওই দিন মাদ্রাসায় যেতে একটু দেরি হওয়ায় মাদ্রাসার নূরানী বিভাগের শিক্ষক ক্বারী মো.খাইরুল ইসলাম তাকে বেত্রাঘাত করে। যার ফলে সে ভীষণ অসুস্থ হয়ে পরে।
জাহিদ আরো বলেন, ওইদিন সকালে আমি দাঁতের ডাক্তার দেখাতে গেলে ডাক্তার আমার একটি দাঁত ফেলে দেয়। তাই মাদ্রাসায় যেতে দেরি হয়।
এ ব্যাপারে মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা মোস্তাকিম বিল্লাহ বলেন, এ মাদ্রাসায় তেমন কিছুই হয়নি।
এ ব্যাপারে মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব মো. জসিম উদ্দিন বলে, এটা তেমন কোন ঘটনা না। তার পরেও অভিযুক্ত শিক্ষককে মাদ্রাসা থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। তবে রেজুলেশন করে বের করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনো রেজুলেশন করা হয়নি তবে পরে রেজুলেশন করা হবে।
এ বিষয়ে স্থানীয় যুবক মোঃ সৌরভ আহমেদ বলেন, কয়দিন পর পর মাদ্রাসায় একটার পর একটা ঘটনা ঘটবে আর ধামাচাপা দেওয়া হবে এটাতো হতে পারে না। এর সুষ্ঠু বিচার হয়না বলেই বারবার এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। আমি এর কঠিন বিচার দাবি করছি।
অভিযুক্ত ক্বারি মোঃ খাইরুল ইসলামের মোবাইল নাম্বারে বারবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
কুলিয়ারচর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এ.কে.এম সুলতান মাহমুদ বলেন, এমন কোনো অভিযোগ পাইনি, অভিযোগ পেলে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।