নিজস্ব সংবাদদাতা : হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে এক রিসোর্টের রুমে নারীসহ আটকের পর শনিবার রাতে কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে বিক্ষোভ করেছে দলটির নেতাকর্মীরা।
এ সময় হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশ জানায়।
কুলিয়ারচর থানার ওসি সুলতান মাহমুদ জানান, এ ঘটনায় রোববার সকালে এসআই সাদ্দাম হোসেন মোল্লা বাদী হয়ে ৩৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় ৫০০ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন। হামলায় জড়িত সন্দেহে আটক করা হয়েছে পাঁচজনকে।
স্থানীয়রা জানান, শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে কুলিয়ারচর উপজেলা সদরে কয়েক’শ হেফাজত কর্মী ও মাদ্রাসা ছাত্র লাঠিসোটা নিয়ে বিক্ষোভ-মিছিল বের করে। ওই মিছিল থেকে মামুনুল হককে ঘেরাওয়ের ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে শ্লোগান দেওয়া হয়।
একটা পর্যায়ে মিছিলকারীরা ভাঙচুর শুরু করে। গোটা এলাকা এ সময় রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পরে পুলিশ গিলে রাত সাড়ে ১১টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ঘটনার বর্ণনায় ওসি বলেন, “নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টে হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে নিয়ে সংঘটিত ঘটনার জের ধরে শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে হেফাজতে ইসলামের কর্মীরা।
“এ সময় তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সরকারি বাসভবন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কার্যালয়, কুলিয়ারচর থানা, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয়, মহারাজ ত্রৈলোক্যনাথ স্মৃতি লাইব্রেরিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাঙচুর চালায়।“
তিনি বলেন, “ওই সময় হেফাজত নেতাকরর্মীদের সঙ্গে দফায় দফায় পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পাঁচটি রাবার বুলেট ছুড়তে হয়েছে। এতে চার পুলিশসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।”
এ বিষয়ে ইউএনও রুবায়াৎ ফেরদৌসী জানান, হামলায় তার বাসা ও এসি ল্যান্ডের কার্যালয়সহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।