সর্বশেষ
প্রচ্ছদ / হাওরাঞ্চল / কিশোরগঞ্জ / সম্পদের এগিয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থী, মামলায় বিএনপি

সম্পদের এগিয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থী, মামলায় বিএনপি

টিটু দাস : প্রাচীন পৌরসভা বাজিতপুর। এ পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিনজন প্রার্থী। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির ব্যানারে দু’জন নির্বাচনী ভোটযুদ্ধে রয়েছেন। এছাড়া হাতপাখা প্রতীকে একজন ভোটযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন।

নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামায় আওয়ামী লীগের মনোনীত ‘নৌকা’ প্রতীকের প্রার্থী মো. আনোয়ার হোসেন সম্পদে এগিয়ে রয়েছেন। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি।

তবে মামলায় এগিয়ে রয়েছেন বিএনপি মনোনীত ‘ধানের শীষ’ প্রতীকের প্রার্থী মো. এহেসান কুফিয়া। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা দেখানো হয়েছে এইচএসসি এবং তার বিরুদ্ধে দুইটি মামলা চলমান রয়েছে।

দুই প্রার্থী ছাড়াও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ দল থেকে হাতপাখা প্রতীকে জমির উদ্দিন নামে একজন মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় করছেন।

আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. আনোয়ার হোসেন দ্বিতীয়বারের মতো মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তার হলফনামা থেকে জানা যায়, ১৯৭৮ সালের ১২ জুন তার জন্ম। পেশা তিনি একজন ব্যবসায়ী এবং বাজিতপুর পৌরসভার মেয়র। ব্যবসা থেকে বাৎসরিক আয় ৭ লাখ ৯০ হাজার টাকা (কিন্তু ব্যবসার প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ্য নেই), বাৎসরিক মেয়র ভাতা ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা।
এছাড়া নিজ নামে নগদ টাকা রয়েছে ৩ লাখ ৯৮ হাজার ৩৬২ টাকা, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমাকৃত অর্থ রয়েছে ৫৫ লাখ ২২ হাজার ৫৩৮ টাকা, নিজ নামে ৪৭ লাখ টাকার একটি গাড়ি (ঢাকা মেট্রো গ-১৫-৬৫৯৪), ৩০ হাজার টাকার স্বর্ণ, আসবাবপত্র ১০ হাজার টাকার, ব্যবসায় মূলধন ২৩ লাখ ৬৬ হাজার ১শ টাকা, স্ত্রীর নামে ৩০ ভরি স্বর্ণ ও টিভি, ফ্রিজ মোবাইল রয়েছে। কৃষি জমি রয়েছে ৩৫.১/৩ শতাংশ (মূল্য ৫২ লাখ ৪৮ হাজার ৬শ টাকা), অকৃষি জমি যৌথ মালিকানায় ২.৮৩ শতাংশ (মূল্য ১০ লাখ ৪৫ হাজার), দোকান যৌথ মালিকানায় ১ টি (৪ লাখ ২০ হাজার) ও এপার্টমেন্ট ১ টি (মূল্য ১৯ লাখ ৮০ হাজার)। বাজিতপুর থানায় ৩২৫/৩২৬ ধারায় একটি মামলা থেকে আনোয়ার হোসেনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

বিএনপি মনোনীত ‘ধানের শীষ’ প্রতীকের প্রার্থী মো. এহেসান কুফিয়া। পেশায় একজন ব্যবসায়ী। তার মালিকানায় রয়েছে তিনাজ এন্ড তানাহ সুজ। তার বাৎসরিক আয় উল্লেখ নেই। তবে তার নামে নগদ ৮০ হাজার টাকা এবং ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে রয়েছে ৬ লাখ টাকা ও স্ত্রীর নামে ৩০ তোলা স্বর্ণ রয়েছে। এছাড়া ইলেকট্রনিক্স ও আসবাবপত্র রয়েছে। তবে তার নামে (বিশেষ ট্রাইব্যুনাল আদালত ও প্রথম অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতে) দুটি মামলা চলমান রয়েছে।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ দল থেকে জমির উদ্দিনের শিক্ষাগত যোগ্যতা অক্ষরজ্ঞান সম্পন্ন। তার কৃষিখাত থেকে বাৎসরিক আয় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। নগদ অর্থ রয়েছে ৮০ হাজার টাকা এবং ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে রয়েছে ৫ হাজার টাকা। এছাড়া ইলেকট্রনিক্স ও আসবাবপত্র রয়েছে।

বাজিতপুর পৌরসভায় ৮টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে ৩১ জন এবং ২টি সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ৮ জন ভোটযুদ্ধে রয়েছেন। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত দুই প্রার্থী ৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মো. কামাল খাঁন এবং ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলর মোছা. সেলিনা আক্তার খানম।

কিশোরগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আশ্রাফুল আলম জানান, বাজিতপুর পৌরসভার মোট ২৪ হাজার ৮১২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১২ হাজার ১৫০ জন ও মহিলা ভোটার ১২ হাজার ৬৬২ জন। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি ১২টি কেন্দ্রের ৬৯টি ভোটকক্ষে অনুষ্ঠিত হবে বাজিতপুর পৌরসভা নির্বাচন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *