নিজস্ব সংবাদদাতা : তখন মাঝরাত। মেঘনা নদীর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রাজাপুর মোহনায় মাছ ধরছিলেন কুতুব মিয়া। জালে বড় মাছ আটকা পড়েছে বুঝতে পেরে সচেতন হয়ে যান তিনি। এক ঘণ্টার চেষ্টায় মাছটি নৌকায় তুলতে সংক্ষম হন কুতুব। পরদিন সকালে ৪৬ কেজি ওজনের বাগাড় মাছটি ৬৯ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন তিনি।
আজ রোববার সকাল আটটার দিকে কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর মৎস্য আড়তে ৪৬ কেজি ওজনের মাছটি আনেন কুতুব মিয়া। সঙ্গে সঙ্গে আগ্রহী জনতার ভিড় লেগে যায়। দামদর শেষে বেলা ১১টার দিকে সুজন মিয়া নামের কুলিয়ারচরের এক ব্যবসায়ী ৬৯ হাজার টাকায় মাছটি কিনে নেন।
সুজন বলেন, আসলে মেঘনায় এত বড় বাগাড় খুব বেশি চোখে পড়ে না। সেই কারণেই কিনেছেন। ১ হাজার ৫০০ টাকা কেজি দরে মাছটি কেনা হয়েছে। মাছটি তিনি নিজে খাওয়ার জন্য কেনেননি। ঢাকায় নিয়ে বিক্রি করবেন বলে জানান সুজন।
গভীর নদী থেকে মাছটি নৌকায় টেনে তোলার সুখস্মৃতি জানাতে গিয়ে কুতুব মিয়া বলেন, ‘যখন টের পাইলাম জালে বড় কোনো মাছ আটকা পড়ছে, তখন থাইক্কা আনন্দ আর উত্তেজনা অনুভব হইছিল। বাগাড় মাছ কি না, তা নিশ্চিত আছিলাম না। মনে হইছিল বোয়াল হইতে পারে। নৌকায় তোলার পর বুঝতে পারলাম বাগাড় মাছ।’ কুতুব মিয়া জানালেন, এই পেশায় আসার পর এত বড় মাছ তাঁর জালে আর ধরা পড়েনি। পরিচিত অন্য জেলেদের জালে এত বড় বাগাড় ধরার খবর তাঁর জানা নেই।