নিজস্ব সংবাদদাতা: কিশোরগঞ্জ-ভৈরব সড়কে ট্রাক সিএনজি চালিত অটোরিকশা মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই ৩ জন নিহত হয়েছে । এছাড়া সিএনজির ড্রাইভারসহ ৩ জন আহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ভৈরবের কালিকাপ্রসাদ ইউনিয়নের নয়াহাটি এলাকায় সড়কে এই দূর্ঘটনাটি ঘটে।
গুরুতর আহতরা হলো সিএনজির ড্রাইভার কিশোরগঞ্জের নিকলি উপজেলার মৃত সাহেদ আলীর ছেলে আঃ খালেক (৪৫), একই উপজেলার জালালপুর গ্রামের নবী হোসেনের ছেলে মোঃ ইসমাইল (৩২), একই উপজেলার মজলিসপুর গ্রামের নুরালী মিয়ার ছেলে মোঃ ফরিদ মিয়া (৩৩)। নিহত তিনজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
খবর পেয়ে ভৈরব হাইওয়ে থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। আহতরা ভৈরব উপজেলা স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
পুলিশ ও প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুর সোয়া একটার দিকে নিকলী – ভৈরবগামী সিএনজিটি ( নং কিশোরগঞ্জ – থ – ১১- ১১৪৮) ৫ জন যাত্রী নিয়ে ভৈরব আসার পথে বিপরীতদিক থেকে আসা ভৈরব – কিশোরগন্জগামী একটি ট্রাক ( নং ঢাকা মেট্রো – ট – ১৪ – ৮৫৭৬) মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে এই দূর্ঘটনা ঘটে। দূর্ঘটনার পর ট্রাকটি রং সাইডে দেখা যায় এবং খাদে পড়ে রয়েছে ট্রাকটি। ঘটনার সময় ঘটনাস্থলেই একজন নিহত এবং দুইজনকে হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যায়। গুরুতর আহত তিনজনের মধ্য ড্রাইভার খালেকসহ দুইজনের অবস্হা গুরুতর। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আহতরা ভৈরব হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।তবে তাদের কোন আত্মীয়- স্বজন এ সময় হাসপাতালে উপস্হিত ছিল না। নিহতদের নাম ঠিকানা এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
ভৈরব উপজেলা স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত ডাঃ সুমাইয়া জানান, হাসপাতালে ৫ জনকে আনার পর দুইজনকে মৃত পাওয়া যায় এবং গুরুতর আহত পায় তিনজনকে। এরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকলেও দুইজনের অবস্থা গুরুতর রয়েছে।
ভৈরব হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) মোঃ মামুনুর রহমান জানান, পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্হল থেকে নিহত ও আহতদের উদ্ধার করে। একজনের লাশ থানায় পাঠানো হয় এবং ৫ জনকে হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। আহতদের পরিচয় পাওয়া গেলেও নিহতের পরিচয় এখনও পায়নি। ঘটনা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।