নিজস্ব সংবাদদাতা : মার্কিন নির্বাচনে কিশোরগঞ্জের সন্তান শেখ মোজাহিদুর রহমান চন্দন দ্বিতীয়বারের মতো সিনেটর পদে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি ডেমোক্রেটিক দলের প্রার্থী হিসেবে জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের নরক্রস, লিলবার্ন ও লরেন্সভিল নিয়ে গঠিত ডিস্ট্রিক্ট-৫ আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। এর আগে একই আসন থেকে ২০১৮ সালের নির্বাচনে তিনি প্রথমবারের মতো সিনেটর নির্বাচিত হয়েছিলেন।
১৯৫৫ সালে তৎকালীন ময়মনসিংহ জেলার কিশোরগঞ্জ মহুকুমার বাজিতপুর থানার সরারচরে পৈতৃক বাড়িতে শেখ মোজাহিদুর রহমান চন্দন জন্মগ্রহণ করেন। মরহুম আলহাজ মো. নজিবুর রহমান এবং সৈয়দা হাজেরা খাতুন দম্পতির চতুর্থ সন্তান তিনি। চন্দন এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক।
চন্দনের ছোট ভাই কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সহসভাপতি শেখ মুজিবুর রহমান ইকবাল আবেগাপ্লুত কণ্ঠে বলেন, ‘আমার বড় ভাইয়ের বিজয়ে আমার পরিবার ও আত্মীয়স্বজনসহ এলাকার সবাই আনন্দে উদ্বেলিত। এ বিজয়ে আমি অত্যন্ত গর্ববোধ করছি। চন্দনের বিজয় দেশের মুখ উজ্জ্বল করেছে।’
শেখ মুজিবুর রহমান ইকবাল জানান, ১৯৮০ সালে উচ্চ শিক্ষার্থে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যান চন্দন। ছাত্রজীবনেই চন্দন ডেমোক্রেটিক পার্টির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। জর্জিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালে তিনি ওই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন।
এর আগে প্রথমবার সিনেটর নির্বাচিত হওয়ার পর ২০১৯ সালের মে মাসে কিশোরগঞ্জের সরারচরে গ্রামের বাড়িতে আসেন শেখ মোজাহিদুর রহমান চন্দন। তখন এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে তাঁকে জমকালো সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সে সময় তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেছিলেন, ‘মা-মাটির ভালোবাসা, স্নেহ-মমতার ঋণ কখনো শোধ করার নয়। ক্রমবর্ধমান উন্নতির শিখরে উঠছে বাংলাদেশ। মানুষের মাথাপিছু আয়, ভাগ্যের উন্নতি এবং তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশ বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশকে ভিন্ন উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছে।’
চন্দন আরো বলেছিলেন, ‘এখন সময় হচ্ছে ঘুরে দাঁড়ানোর। বাসন-কোসন ধোয়ার কাজের মাধ্যমে আমার প্রবাসজীবন শুরু। ১৪ বছর লেগেছে কলেজ-ভার্সিটির লেখাপড়া শেষ করতে। আর আজকের এ অবস্থানে আসতে সময় লেগেছে ৩৫ বছর। আমি সবার প্রতি অনুরোধ রাখতে চাই, একবার হেরে গেলেই হাল ছেড়ে দেবেন না। চেষ্টা করলে ভাগ্য প্রসন্ন হবেই। নির্বাচনে জয়-পরাজয় উভয়ই রয়েছে। একবার হারলেই যেন কেউ হতাশ না হন।’