নিজস্ব সংবাদদাতা : কিশোরগঞ্জের ভৈরবে কোভিড-১৯–এ (করোনাভাইরাস) আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ৩০০ ছাড়িয়েছে। ২০০ থেকে ৩০০–তে পৌঁছাতে সময় লাগে মাত্র তিন দিন।
এর আগে ৫০ দিনে শতক আসে। শতক থেকে দ্বিশতক হয় সাত দিনে। লাফিয়ে লাফিয়ে সংক্রমণ বেড়ে চলায় পরিস্থিতি সামাল দিতে স্বাস্থ্য বিভাগকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এ নিয়ে বাড়তি দুশ্চিন্তায় উপজেলা প্রশাসনও।
স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, আজ মঙ্গলবার নতুন করে ৩৮ জনের শরীরে সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এই সংখ্যা আসে ৯৯ জনের পরীক্ষা থেকে। ৩৮ জনের সংক্রমণ শনাক্তের মধ্য দিয়ে ভৈরবের করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩০৫–এ গিয়ে ঠেকে। এ–সংখ্যক সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৩২২ জনের নমুনা পরীক্ষা থেকে।
এদিকে সংক্রমণের মাত্রা কমিয়ে আনতে ভৈরবকে দুই সপ্তাহের জন্য নতুন করে লকডাউন (অবরুদ্ধ) ঘোষণা করা হয়েছে। লকডাউনের শেষ সময় ২০ জুন।
লকডাউন চললেও সংক্রমণের হার কমেনি। দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। তবে বেশির ভাগ সাধারণ মানুষ লকডাউন আমলে নিচ্ছে না। এই অবস্থায় লকডাউন কার্যকর করতে এখন উপজেলা প্রশাসন মাঠপর্যায়ে কাজ শুরু করেছে। দুদিন আগে লকডাউন অমান্য করে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখায় ১১ ব্যবসায়ীকে লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লুবনা ফারজানা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি। দুঃখ করে লুবনা ফারজানা বলেন, এই পরিস্থিতিতেও আইন প্রয়োগ করে মানুষকে লকডাউনের মানে বোঝাতে হচ্ছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বুলবুল আহমেদ বলেন, পরিস্থিতি খুবই নাজুক। উপসর্গ দেখা দিচ্ছে অনেক মানুষের মধ্যে। ফলে নমুনা দেওয়ার সংখ্যাও বেড়েছে। এখন প্রতিদিন প্রায় ১০০ জন নমুনা দিচ্ছে। অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে আরও অনেককে। এখন পর্যন্ত ৭৩ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।