সর্বশেষ
প্রচ্ছদ / হাওরাঞ্চল / কিশোরগঞ্জ / ভৈরবে করোনা ‘পজিটিভ’ একজন ও উপসর্গ নিয়ে চারজনের মৃত্যু

ভৈরবে করোনা ‘পজিটিভ’ একজন ও উপসর্গ নিয়ে চারজনের মৃত্যু

নিজস্ব সংবাদদাতা : কিশোরগঞ্জের ভৈরবে করোনাভাইরাস সংক্রমণের উপসর্গ নিয়ে একদিনে পৌর কাউন্সিলরসহ চারজন মারা গেছেন। একই সময়ে করোনা ‘পজিটিভ’ হয়ে মারা গেছেন এক এক নারী। এ নিয়ে উপজেলায় নিশ্চিত কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল তিনজনে।|

এদিকে তিন দিনের ব্যবধানে আরও ৪৩ জনের শরীরের করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এই নিয়ে মোট আক্রান্ত ১৪২ জনে গিয়ে ঠেকল।

স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, করোনায় সংক্রমিত হয়ে মারা যাওয়া নারীর বাড়ি ভৈরব পৌর শহরের কালিপুর এলাকায়। ৬৫ বছর বয়সী এই ব্যক্তি এক সপ্তাহ ধরে সর্দি-জ্বরে ভুগছিলেন। কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য পাঁচ দিন আগে নমুনা দেন। মঙ্গলবার রাতে পরিবারের সদস্যরা জানতে পারেন, ওই নারী করোনায় আক্রান্ত। বুধবার সকালে তিনি মারা যান।

এদিকে মঙ্গলবার রাত দুইটার দিকে ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা যান ভৈরব পৌরসভার একজন ওয়ার্ড কাউন্সিলর (৫৫)। তিনিও ১০ দিন ধরে সর্দি-জ্বরে ভুগছিলেন। দুদিন আগে তাঁর নমুনা পরীক্ষায় করোনা ‘নেগেটিভ’ আসে। কিন্তু তাঁর সর্দি-জ্বর কমছিল না। রাত বারোটার দিকে শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। রাতেই তাঁকে ঢাকার একটি হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। এর কিছুক্ষণের মধ্যে মারা যান তিনি।

স্থানীয় লোকজন বলছেন, ওই ওয়ার্ড কাউন্সিলর শুরু থেকেই করোনার সংক্রমণ ঠেকানোর বিরুদ্ধে সামনে থেকে লড়াই করেছেন। একই সঙ্গে মানবিক সহায়তায় তাঁর ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয়। এ অবস্থায় তাঁর মৃত্যুতে এলাকাবাসী শোকাহত।

এদিকে পৌর শহরের আমলাপাড়ায় বুধবার সকালে মারা যান এক বৃদ্ধ। বেশ কিছু দিন ধরে তিনি জ্বর ও কাশিতে ভুগছিলেন। তবে পরীক্ষার জন্য তিনি নমুনা দেননি। কালিপুর এলাকায় বুধবার ভোরে মারা যান এক নারী। ৬৫ বছর বয়সী এই ব্যক্তি বেশ কিছুদিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন। ভোরে তাঁর শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। একপর্যায়ে তিনি মারা যান। এ ছাড়া বুধবার ভোররাতে রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় মারা যান ৫৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তি। তাঁর নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি। স্টেশনের দোকানিরা জানান, চার দিন ধরে মানুষটি জ্বরে ভুগছিলেন। জ্বর নিয়েই তিনি বাইরে ঘোরাফেরা করতেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: বুলবুল আহমেদ বলেন, করোনা পরীক্ষার জন্য উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া চারজনেরই নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে তাঁদের দাফনের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান ভৈরব পৌরসভার স্যানিটারি ইন্সপেক্টর নাসিমা বেগম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *