টিটু দাস : এক সময় কিশোরগঞ্জ হাওরের যোগাযোগ ব্যবস্থার চিত্র তুলে ধরে কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক বলেন, হাওরের তিন উপজেলা (অষ্টগ্রাম-ইটনা-মিঠামইন) প্রসূতি মাকে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসতে চাইলে অনেকেই রাস্তায় মারা যায়। কিন্তু বর্তমানে তিন উপজেলায় যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজতর হওয়ায় ও তিনটি অ্যাম্বুলেন্স থাকায় চিকিৎসার অভাবে হাওরের রোগী মারা যায় না।
আজ শুক্রবার বিকেলে কিশোরগঞ্জ শহরের পৌর মহিলা কলেজ মাঠে নদী, হাওর ও পরিবেশ বিষয়ক কারিগরি সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন হাওরাঞ্চলবাসী কেন্দ্রীয় কমিটি ও পরিবেশ রক্ষা মঞ্চ কিশোরগঞ্জ শাখা।
তিনবারের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক বলেন, আমাদের তিন উপজেলাবাসীর যোগাযোগের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন কিশোরগঞ্জ জেলার সাথে। কিন্তু পানির স্রোতের কথা চিন্তা করে, হাওরের অলওয়েদার সড়ক উত্তর-দক্ষিণ দিকে নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়। যাতে পানি চলাচলে বাঁধাগ্রস্ত না হয়।
এমপি তৌফিক আরও বলেন, হাওরে অলওয়েদার সড়ক নির্মাণের আগে হাওরের পরিবেশের কথা চিন্তা করে তিন বছর হাইড্রোলজিক্যাল ও মরফোলজিক্যাল স্টাডি করা হয়। তারপর ২০১৪ সালে অলওয়েদার সড়কের টেন্ডার হয়। আর এখন এ সড়কের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। হাওরের এসব উন্নয়ন করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। কারণ আওয়ামী লীগ সরকার ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে হাওরে উন্নয়নমূলক কাজ শুরু করে। হাওরের যত উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে সবকিছু আওয়ামী লীগ সরকারের তত্ত্বাবধানে।
রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক আরও বলেন, নরসুন্দা নদী পুনঃখনন কাজ সমন্বয়হীনতার কারণে বাঁধার সৃষ্টি হয়েছে। এ নদীর খননের কাজ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে কারার সাথে একমত পোষণ করেন।
জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক।
আরো উপস্থিত ছিলেন- সেমিনার প্রস্তুত কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ শরীফ সাদী, হাওরাঞ্চলবাসীর প্রধান সমন্বয়ক হালিম দাদা খান।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন- সেমিনার প্রস্তুত কমিটির সদস্য সচিব অনুপম মাহমুদ।