টিটু দাস : সন্ধ্যা পৌনে ৬টা ছুঁইছুঁই । কিশোরগঞ্জ-ভৈরব আঞ্চলিক সড়কে দিয়ে গাঁজার চালান আসবে। গাড়ি বা গাড়ির নাম্বার কিছুই জানা নেই র্যাবের। কিন্তু তারপরও দাড়িয়াকান্দি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় র্যাব-১৪ টিমের অবস্থান। সড়ক দিয়ে একের পর এক গাড়ি সাই সাই করে চলে যাচ্ছে। সন্দেহ মূলকভাবে কিছু কিছু গাড়ি চেক করছে র্যাব। কিন্তু এর মধ্যে র্যাব খবর পায় গাঁজার গাড়ি কটিয়াদী এলাকায়। আবার গাঁজা বহনকারী গাড়ির পিছু নেয় র্যাব টিম। কিন্তু গাঁজা বহনকারী গাড়ি র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে আঞ্চলিক সড়ক থেকে সরে মানিকখালি সড়কের প্রবেশ করে গাড়ি নিখোঁজ। এখানেই র্যাবের অভিযান শেষ নয় । চলতে থাকে র্যাবের খোঁজাখুঁজি। অবশেষে রাত দেড়টার দিকে কটিয়াদী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় থেকে ৩০ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে র্যাব। এ সময় তাদের কাছ থেকে গাঁজা বিক্রির দুই লাখ টাকা উদ্ধার করা হয় এবং গাঁজা বহনকারী পিকআপটি জব্দ করা হয়।
এ অভিযানের নেতৃত্ব দেন কিশোরগঞ্জ র্যাব-১৪, সিপিসি-২ এর কোম্পানি অধিনায়ক লে: কমান্ডার এম শোভন খান।
আটককৃত মাদক ব্যবসায়ীরা হলেন- হবিগঞ্জ জেলার দক্ষিণ আমকান্দি জেলার মৃত রাজ্জাক মিয়ার ছেলে মরতুজ আলী ও একই জেলার চুনারুঘাট উপজেলার নতুন বাজার বাগবাড়ী গ্রামের আব্দুল আউয়ালের ছেলে মোশারফ হোসেন। আসামি মরতুজ আলীর বিরুদ্ধে গাঁজা চালানের আরো ২ টি মামলা রয়েছে।
গাঁজার চালান হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জ থেকে এসেছিল।