টিটু দাস : ইটনার বড়িবাড়ীতে যাত্রী ছাউনিসহ একটি সিঁড়িঘাট নির্মাণ করে যাতায়াত নির্বিঘ্ন করেছেন কোমলমতি হাজারো শিক্ষার্থীর। সময়োপযোগী তৎপরতায় রক্ষা করেছেন মেঘনায় বিলীন হওয়ার হুমকিতে পড়া অষ্টগ্রামের বাঙ্গালপাড়ার লাউরা গ্রাম। এভাবে খবর পেলেই সরেজমিনে সমস্যা সঙ্কুল স্থানে হাজির হচ্ছেন কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক। প্রাকৃতিক ঝুঁকি মোকাবেলায় বরাদ্দ আনছেন দ্রুততম সময়ে।
জনসেবায় নিবেদিত প্রকৌশলী তৌফিক সম্প্রতি লাউরা গ্রামের ভাঙ্গন সম্পর্কে জেনেছিলেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে। তৎক্ষণাৎ তৎপর হয়ে প্রয়োজনীয় যোগাযোগ ও দৌড়ঝাঁপ শুরু করেন তিনি। দ্রুততম সময়ে সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তর থেকে ৩০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করিয়ে আনেন। বিলীন হওয়ার হুমকি থেকে বেঁচে যায় লাউরা গ্রাম।
বড়িবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ে সিঁড়িঘাট আর ছাউনির উদ্যোগও এমপি তৌফিকের নিজে থেকেই নেওয়া। সবাই জানে, হাওরে বর্ষা মানেই থৈ থৈ পানি। পুরো বর্ষাকালসহ বছরের প্রায় অর্ধেক সময় তাই নৌকাই হাত-পা হয়ে ওঠে হাওরবাসীর। তখন এক গ্রাম থেকে আর এক গ্রাম, হাট-বাজারে যাতায়াতের ভরসা ছোট ছোট নৌকা। কোমলমতি শিশুদের স্কুলে যাতায়াত করতে হয় নৌকা করেই।
আশপাশের চার গ্রামের হাজারো শিক্ষার্থীকেও এভাবে নিত্য দিন যাতায়াত করতে হয় ইটনা উপজেলার বড়িবাড়ী গ্রামে। কিন্তু বর্ষায় দ্বীপগ্রাম হয়ে ওঠা বড়িবাড়ীর মাটিতে পা রাখতে গেলে আগে জল-কাদায় মাখামাখি হতো শিশুদের শরীর-পোশাক। যাত্রী ছাউনি আর সিঁড়িঘাট তাই বেশ কাজে দিয়েছে বড়িবাড়ীতে।
এভাবেই নিরন্তর মানুষের সমস্যা খুঁজে সমাধান করে চলেছেন রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক। ইটনা, মিঠামইন আর অষ্টগ্রাম নিয়ে গঠিত নিজের নির্বাচনী এলাকার সবটা জুড়েই জনসেবামূলক পদচারণা তাঁর। মনোযোগ দিয়ে মানুষের কথা শোনেন। সবাইকে নিয়েই হাঁটেন সমাধানের পথে।
হাওরের আলো-হাওয়ায় বেড়ে ওঠা তৌফিকের কাছে হাওরের মানুষ আত্মার আত্মীয়। প্রতিনিয়ত বুনে যান হাওরাঞ্চল ও হাওরবাসীর উন্নয়নের পরিকল্পনা। জনসেবায় আজীবন নিজেকে নিয়োজিত রাখার স্বপ্ন দেখে যান তিনি।