নিজস্ব সংবাদদাতা : এবারের মাজহারুন-নূর ফাউন্ডেশন সম্মাননা দেয়া হয়েছে ঋদ্ধ মননের প্রাগ্রসর ভূমিপুত্র প্রয়াত শাহ্ মাহতাব আলীকে। শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে চতুর্থ মাজহারুন-নূর ফাউন্ডেশন সম্মাননা বক্তৃতা’র মাধ্যমে তাঁকে মরণোত্তর সম্মাননা দেয়া হয়। বিকালে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার অষ্টবর্গ গ্রামের শাহ বাড়ি প্রাঙ্গণে ‘ ঋদ্ধ মননের প্রাগ্রসর ভূমিপুত্র: শাহ্ মাহতাব আলী’ শীর্ষক এই সম্মাননা অনুষ্ঠানের সম্মাননা বক্তা ছিলেন ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহফুজ পারভেজ।
কিশোরগঞ্জ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য প্রেসিডেন্টপুত্র রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক।
এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী ও পুলিশ সুপার মো. মাশরুকুর রহমান খালেদ বিপিএম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা দেন গণতন্ত্রী পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জেলা গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতি অ্যাডভোকেট ভূপেন্দ্র ভৌমিক দোলন। এতে অন্যদের মধ্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) তরফদার মো. আক্তার জামীল, পাবলিক প্রসিকিউটর শাহ আজিজুল হক, অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন ফারুকী, জেলা প্রেসকাব সভাপতি মোস্তফা কামাল, সিনিয়র সাংবাদিক সাইফুল হক মোল্লা দুলু, সিনিয়র সাংবাদিক ও জেলা ক্যাব সভাপতি আলম সারোয়ার টিটু প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত ব্যক্তিত্বের পক্ষে প্রয়াত শাহ্ মাহতাব আলীর ছেলে শাহ ইস্কান্দার আলী স্বপন বক্তব্য রাখেন।
প্রয়াত শাহ্ মাহতাব আলীর জীবন ও কর্মের বিভিন্ন দিকের ওপর আলোকপাত করতে গিয়ে সম্মাননা বক্তা ড. মাহফুজ পারভেজ বলেন, কিশোরগঞ্জের মতো নিভৃত স্থানে বসবাস করেও শাহ্ মাহতাব আলী ছিলেন বাংলাদেশের আনসার বাহিনীর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। স্বাধীনতা পূর্বকালে গৌরাঙ্গ বাজার তথা কিশোরগঞ্জের ব্যবসায়ীদের সংগঠকও তিনি। কিশোরগঞ্জ সদরের অষ্টবর্গ গ্রামের নিজ বাড়িতে মুক্তিযুদ্ধকালে প্রথম আশ্রয় শিবিরের প্রতিষ্ঠাতা। স্থানীয় সমাজ ও মানুষের মধ্যে আলোবিস্তারী একজন দরদী মানুষ ছিলেন শাহ্ মাহতাব আলী।
সম্মাননা অনুষ্ঠানে জেলার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ছাড়াও স্থানীয় লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
ভাষা সংগ্রামী ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ডা. এএ মাজহারুল হক এবং সমাজসেবী নূরজাহান বেগম প্রতিষ্ঠিত মাজহারুন-নূর ফাউন্ডেশন চতুর্থ বারের মতো এ সম্মাননা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এর আগে ২০১৫ সালে প্রথম মাজহারুন-নূর ফাউন্ডেশন সম্মাননা পান শিক্ষাবিদ প্রাণেশ কুমার চৌধুরী, ২০১৬ সালে দ্বিতীয় মাজহারুন-নূর ফাউন্ডেশন সম্মাননা পান দীপ্তিমান শিক্ষকদম্পতি: অধ্যক্ষ মুহ. নূরুল ইসলাম ও বেগম খালেদা ইসলাম এবং ২০১৭ সালে তৃতীয় মাজহারুন-নূর ফাউন্ডেশন সম্মাননা পান ‘প্রজ্ঞার দ্যুতি ও আভিজাত্যের প্রতীক: প্রফেসর রফিকুর রহমান চৌধুরী’।