সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জের তাহিপুর উজেলার নাউটানা হাওর রক্ষা বাঁধ কেটে দেয়ায় ঝুকিতে কয়েকটি হাওরের ১০০০ হেক্টর জমির বোর ধান।
বাঁধ কেটে দেয়ায় পানি ঢুকছে ঐ হাওর গুলোতে। যদি দ্রুত বাঁধ মেরামত না করা হয় তাহলে তলিয়ে যাবে হাওরের ফসল।
বৃহস্পতিবার (২৬ এপ্রিল) রাতে কিছু অসাধু জেলে তাহিরপুর উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের গোলাবাড়ি গ্রামসংলগ্ন নাউটানা বাঁধটি কেটে দেয়।
পানিতে জাল ফেলে মাছ ধরার জন্য তারা এই কাজ করেন বলে দাবি করছেন এলাকার অনেক লোক।
এই ঘটনার পর টাগুয়ার হাওরের এরালিয়াকোনা, গনিয়াকুরি, লামারগুলসহ কয়েকটি হাওরের ধান হুমকির মুখে পড়েছে।
কেটে দেয়া বাঁধ মেরামতে ইতিমধ্যে উদ্যেগ নিয়েছে তাহিরপুর উপজেলা প্রশাসন।
ফসল রক্ষাবাঁধ কাটার ঘটনায় বৃহস্পতিবার সন্ধায় টাংগুয়ার হাওরের কমিউনিটি গার্ডের সদস্য খসরুল আলম বাদী হয়ে তাহিরপুর থানায় আটজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৭০ থেকে ৮০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ রামসিংহপুর গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে আনোয়ার হোসেনকে (২৮) গ্রেফতারও করেছে।
টাংগুয়ার হাওরের সহ রক্ষনাবেক্ষণ ব্যবস্থাপনা কমিটি এ বাঁধটি নির্মাণ করে।
এই সহ-ব্যবস্থাপনা কমিটির কোষাধ্যক্ষ খসরুল আলম বলেন, টাংগুয়ার হাওরের নাউটানা বাঁধের পুরনো বাঁধটিতে এবারও মাটি ফেলা হয়েছে। কিছু অসৎ জেলে হয়তো মাছ ধরার জন্য বাঁধটি কেটে দিয়েছে। ফসল রক্ষা বাঁধ কাটায় হুমকির মুখে ১০০০ হেক্টর জমির ধান
শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের ৯নং ওয়াডের ইউপি সদস্য সাজিনুর মিয়া জানান, এলাকাবাসী ধারণা করছে যে জেলেরা এই মাছ ধরার জন্য এই বাঁধ কেটে দিয়েছে। অতীতেও অসাধু জেলা এই সব অপকর্মের সাথে জড়িত ছিল। আমরা বাঁধ মেরামতের জন্য উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় ইতি মধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছি।
তাহিরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আব্দুস সালাম বলেন, তাহিপুর উপজেলায় এখন পর্যন্ত ৬০ শতাংশ ধান কাটা হয়ে গেছে। যে বাঁধটি কাটা হয়েছে। সে পানি ধর্মপাশা উপজেলার বংশীকুন্ডার দিকে যাচ্ছে। তবে আমরা ইতি মধ্যেই উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা সহ সবাই কেটে দেওয়া বাঁধটি পরিদর্শন করেছি। আরো দুই তিন তিন এ ভাবে পানি প্রবাহিত হলে আশাপাশে ১ হাজার হেক্টর জমির ক্ষতি হতে পারে। আশা করছি আগামীকাল ১২টার মধ্যে বাঁধটি মেরামত করা হবে।
হাওরের বাঁধটি কেটে দেওয়ায় ফসলের তেমন কোনও ক্ষতি হবে না। কারণ, মানুষ অনেক ধান কেটে ফেলছে।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ- বিভাগীয় প্রকৌশলী রঞ্জন কুমার দাস বলেন, বাঁধটি পানি উন্নয়ন বোর্ডে কোনও বাঁধ নয়। এটি টাংগুয়ার হাওর রক্ষনাবেক্ষণ কমিটি এই বাঁধ তৈরি করেছে। তবে আমরা বাঁধ পরিদর্শন করেছি বড় ধরণের তেমন কোন ক্ষতি হবে না।
তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নন্দন কান্তি ধর বলেন, বাঁধ কাটার ঘটনায় থানায় গতকাল সন্ধায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ইতি মধ্যে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদের আসমীদের গ্রেফতারের চেষ্ঠা চলছে।