হাওর বাংলা ডেস্ক: মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য, কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি, শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পদাক, বিশিষ্ট সমাজকর্মী এবং শিক্ষানুরাগী মো. আবদুল করিম (৮৬) আর নেই।
আজ শুক্রবার (২০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ছয়টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি… রাজিউন)।
তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছিলেন।তাঁকে দলমত নির্বিশেষে ‘করিম সাহেব’ নামে চিনতেন ও সম্বোধন করতেন। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক , গুরুদয়াল সরকারি কলেজের ছাত্র সংসদের সাবেক জিএস তরুণ রাজনীতিক এনায়েত করিম অমির বাবা। মৃত্যুকালে তিনি তিন ছেলে, এক মেয়ে,বহু আত্মীয়স্বজন ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।তাঁর মৃত্যুর সংবাদে জেলা আওয়ামী লীগ, ব্যবসায়ী মহলসহ সর্বত্র শোকের ছায়া নেমে আসে।
বিকেলে শহরের ইসলামিয়া সুপার মার্কেটের সামনে প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা আবদুল করিমকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্মান জানানো হয়। এ সময় কিশোরগঞ্জে জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী, পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ, জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দসহ সমাজের গণ্যমান্য লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
বাদ মাগরিব শহরের ঐতিহাসিক শহীদী মসজিদ প্রাঙ্গণে নামাজে জানাজা শেষে নগুয়ায় পারিবারিক কবরস্থানে তাঁর মরদেহ দাফন করার কথা রয়েছে। তাঁর মৃত্যুতে ওয়ান নিউজ পরিবার গভীর শোক প্রকাশ করছে।