নিজস্ব সংবাদদাতা : করোনার কারণে এ বছর সম্পূর্ণ ভিন্ন আবহে কিশোরগঞ্জে ঈদ উল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে প্রায় ২৭০ বছরের প্রাচীন দেশের সবচেয়ে বড় ঈদগাহ ঐতিহাসিক শোলাকিয়া মাঠে এ বছর জামাত অনুষ্ঠিত হয়নি। শুধু শোলাকিয়ায় নয় এবার জেলার কোনো খোলা জায়গায় বা ঈদগাহে ঈদের জামাতের আয়োজন করা হয়নি।
শোলাকিয়ায় ঈদের জামাত না হলেও জেলা শহরে ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদে প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন শায়খুল হাদিস মাওলানা শামসুল ইসলাম।
শনিবার (০১ আগস্ট)সকাল ৮ টা ও ৯টায় এ মসজিদে দুটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মুসল্লিরা নামাজ আদায় করেন।
নামাজে শেষে করোনা দুর্যোগ থেকে মানবজাতিকে উদ্ধারের জন্য মহান আল্লাহর রহমত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। তাছাড়া মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করা হয় মোনাজাতে।
একই সঙ্গে জেলা শহরের ঐতিহাসিক শহীদি মসজিদে অনুষ্ঠিত ঈদ জামাতেও বিপুল সংখ্যক মুসুল্লী অংশ গ্রহণ করেন। এ ছাড়াও জেলার সকল মসজিদে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্য বিধি মেনে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। প্রত্যেকটি মসজিদে একাধিক জামাতের আয়োজন করা হয়।
শোলাকিয়া ঈদগাহ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী বলেন, ঈদের দিন লাখো মানুষ শোলাকিয়ায় নামাজ আদায় করতেন। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে সংক্রমণরোধে শোলাকিয়ার খোলা মাঠে ঈদ উল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হয়নি। শুধুমাত্র মুসুল্লিদের জীবনের ঝুঁকি ও নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে শোলাকিয়ার ঈদের জামাত বন্ধ রাখা রয়েছে। তাছাড়া জেলার অন্যান্য জায়গায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে মুসুল্লীরা নামাজ আদায় করেছেন।