সর্বশেষ
প্রচ্ছদ / হাওরাঞ্চল / কিশোরগঞ্জ / রোববার মিঠামইনে ছোট ভাইয়ের জানাজা-দাফনে থাকবেন রাষ্ট্রপতি

রোববার মিঠামইনে ছোট ভাইয়ের জানাজা-দাফনে থাকবেন রাষ্ট্রপতি

নিজস্ব সংবাদদাতা : রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের ছোট ভাই ও সহকারী একান্ত সচিব, মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হক সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যাপক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই এর নামাজে জানাজা রোববার (১৯ জুলাই) বিকাল ৩টায় নিজ হাতে গড়ে তোলা প্রতিষ্ঠান মিঠামইনের মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হক সরকারি কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত হবে।

পরে মিঠামইন উপজেলা সদরের কামালপুর গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে বাবা-মায়ের কবরের পাশে তাঁকে সমাহিত করা হবে। স্নেহের ছোট ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই এঁর নামাজে জানাজা এবং দাফনে উপস্থিত থাকবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের বড় ছেলে ও কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) আসনের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক জানান, তাঁর চাচা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) দিবাগত রাত ১টার দিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন।

এর আগে করোনার উপসর্গ দেখা দিলে গত ২ জুলাই তাঁর নমুনা পরীক্ষা করা হয় এবং কোভিড-১৯ পজেটিভ রিপোর্ট আসে।

পরে গত ৫ জুলাই তাঁকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। গত ১২ জুলাই থেকে তাঁকে ভেনটিলেশনে রাখা হয়।

সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) দিবাগত রাত ১টার দিকে তিনি মারা যান।

মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ১ ছেলে, ২ মেয়ে ও আত্মীয়স্বজনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তাঁর তিন সন্তানের মধ্যে দুই মেয়ে চিকিৎসক ও একমাত্র ছেলে প্রকৌশলী।

বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার কামালপুর গ্রামে ১৯৫৩ সালে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা মরহুম হাজী তায়েব উদ্দিন এর ৫ ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে আবদুল হাই ছিলেন পঞ্চম।

পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে তিনি ছিলেন চতুর্থ এবং রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ দ্বিতীয়। সবার বড় আব্দুল গনি ও তৃতীয় আব্দুর রাজ্জাক মারা গেছেন। রাষ্ট্রপতির একমাত্র ছোট বোন আছিয়া আলম বর্তমানে মিঠামইন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই এঁর বড়।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ১৯৯৬ সালে জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার নির্বাচিত হলে আবদুল হাই তাঁর সহকারী একান্ত সচিব হিসেবে যোগ দেন। আবদুল হামিদ জাতীয় সংসদের স্পিকার হলে তাঁকে আবারও সহকারী একান্ত সচিব করা হয়।

পরে মো. আবদুল হামিদ রাষ্ট্রপতি হলে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাইকে জাতীয় সংসদের উপ-পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।

সেখান থেকে অবসরে যাওয়ার পর বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই রাষ্ট্রপতির সহকারী একান্ত সচিব হিসেবে নিয়োগ পান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *