তোফায়েল আহমেদ: “কোনো বাঁধনে বাঁধা তো গেল না তাকে, ফেরানো গেল না কিছুতে” গানের এই কথার মতোই সকলের মায়া কাটিয়ে পাড়ি জমালেন কিশোরগঞ্জের অনন্য ব্যক্তিত্ব, সকলের প্রিয় মুকুল স্যার। জীবন পাতার মাত্র ৫৪ পৃষ্ঠায় থেমে গেল তাঁর জীবন চাকা। কিশোরগঞ্জের শিক্ষাক্ষেত্রে অন্যতম এ নায়ক ছিলেন বিজ্ঞান শিক্ষার এক মহাগুরু। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার ভোরে মাত্র ৫৪ বছর বয়সে তিনি সবাইকে কাঁদিয়ে পাড়ি জমিয়েছেন না ফেরার দেশে। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
এ.কে.এম আমিনুর রহমান ভূঞা মুকুল ছিলেন ঈশা খাঁ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এর বোর্ড অব ট্রাস্টিজ এর প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান । ছিলেন ‘অ্যাম্বিশান’ কোচিং সেন্টার’ এর উদ্যোক্তা। তিনি কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আমিনুল ইসলাম বকুল এর সহোদর। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, আত্মীয়স্বজন ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তাঁর এই অকাল প্রয়াণে কিশোরগঞ্জের সর্বস্তরের মানুষের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। প্রথমে তাঁর মরদেহে সকাল ১১ টায় কিশোরগঞ্জ আঠারোবাড়ি কাচারী তাঁর নিজ বাসায় নেয়া হয় পরে সকল শ্রেণী পেশার মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য তাঁর কর্মস্থল ঈশা খাঁ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে নেয়া হয়। পরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বুধবার বাদ আসর শহরের ঐতিহাসিক শহীদী মসজিদে মরহুমের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে শহরের নূরানী কবরস্থানে তিনি চিরনিদ্রায় শায়িত হন।