নিজস্ব সংবাদদাতা : দেশে এতোদিন বিআর-১১ এবং বিআর-১৩৫ জাতের ধান আবাদ হয়ে আসছিল। দীর্ঘদিন ধরে এ দু’টি জাতের ধান আবাদের ফরে ধীরে ধীরে কমে আসে এর ফলন।
এ পরিস্থিতিতে বিআর-৮৭ নামে নতুন জাতের উন্নতমানের ধানের বীজ আবিস্কার করেছে, বাংলাদেশ ধান গবেষনা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা। আর প্রথমবারের মতো নতুন জাতের এ ধান আবাদ করা হয়েছে কিশোরগঞ্জে।
বিআর-৮৭ জাতের ধান চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করার লক্ষে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার লতিবাবাদ এলাকায় কৃষক হোসেন উদ্দিনের ৫২ শতাংশ জমিতে এ ধানের আবাদ করা হয়। আর এতে ফলনও হয়েছে অনেক। উৎপাদিত ধান বীজ হিসেবে সংরক্ষণ করে আগামী মওসুমে আবাদ করা হবে বলে জানান, স্থানীয় চাষিরা।
মঙ্গলবার সকালে নতুন জাতের আমন ধানের আবাদ দেখতে আসেন বাংলাদেশ ধান গবেষনা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর ও বিআর-৮৭ ধানের অবিস্কারক ইনস্টিটিউটের প্রধান জৈব প্রযুক্তিবিদ ড. মো. এলামুল হক।
পরিদর্শন শেষে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবির জানান, ব্রিধান-৮৭ জাতটি বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের বায়োটেকনোলজি বিভাগ উদ্ভাবন করেছে। এই জাতটি বিগত ১৪-১৫ বছর যাবৎ গবেষণা করে এই আমন মৌসুমের আগে অবমুক্ত করা হয়েছে। এই জাতটির বিশেষত্ব হলো, ব্রিধান-১১ এর ব্রিধান-৮৭ এ হেক্টরপ্রতি আধা টন ফলন বেশি হয়। জীবনকালের দিক দিয়ে ব্রিধান-১১ এর চেয়ে ব্রিধান-৮৭ ১৮ দিন আগাম। এছাড়া এর চাল অনেক চিকন। সেই হিসেবে ব্রিধান-৮৭ জাতটিতে ফলন বেশি, আগাম এবং চালের মান ভালো। আরেকটি বিষয় হচ্ছে, এই জাতটিতে কৃষক খড়ও পাবেন।
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবির ও চিফ বায়োটেকনোলজিস্ট মো. এনামুল হক জানান, নতুন এই জাতটিকে ছড়িয়ে দিতে বেশকিছু উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বিএডিসি এবং কৃষকদের এ জাতের বীজ দেয়া ছাড়াও কৃষকরা যেন পার্শ্ববর্তী কৃষকদেও এই বীজ দেন, সে ব্যাপারে উদ্ধুদ্ধ করা হচ্ছে। কৃষি সম্প্রসারণ কর্মীদেরকেও উদ্ধুদ্ধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।