নিউজ ডেস্ক: বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের ফলে বিশ্বের বুকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন নারী উন্নয়নের রোল মডেল।
সম্প্রতি নারী উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অর্জন আমাদের গর্বিত করেছে।
নারী উন্নয়নের স্বীকৃতি হিসেবে বাংলাদেশ জাতিসংঘের ‘প্লানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন’ এবং গ্লোবাল পার্টনারশিপ ফোরাম প্রদত্ত ‘এজেন্ট অভ চেঞ্জ অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন করেছে। নারী ও কন্যা শিশুর সাক্ষরতা ও শিক্ষা প্রসারে সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ ইউনেস্কো আমাকে ‘শান্তিবৃক্ষ’ স্মারক পুরস্কারে ভূষিত করেছে।
রূপকল্প ২০২১ ও রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে এদেশের নারী সমাজ জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে ভূমিকা রাখতে প্রস্তুত। জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি আরও যুগোপযোগী করে তা বাস্তবায়ন করছে সরকার। বাল্য বিয়ে সমাজ থেকে নির্মূলের জন্য ‘বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন-২০১৭’ প্রণয়ন করা হয়েছে। নারীর দক্ষতা বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান, উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠা, শ্রমবাজারে ব্যাপক অংশগ্রহণ ও অর্থনৈতিক ক্ষমতা নিশ্চিত করতে এবং নারীর প্রতি সামাজিক অপরাধ রোধে ব্যাপক কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে বর্তমান সরকারের আমলে।
এ ছাড়াও বর্তমান সরকার নারী শিক্ষার প্রসারে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত মেয়েদের শিক্ষা অবৈতনিক করেছে। উপবৃত্তি, শিক্ষার হার বৃদ্ধি, বিনামূল্যে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ, শিক্ষার্থী ঝরেপড়া রোধ এবং লিঙ্গ সমতায় প্রত্যক্ষ ভূমিকা রাখছে। যা সারাবিশ্বের জন্য এখন অনুসরনীয়।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের সংবিধানে নারীর সমঅধিকার প্রতিষ্ঠা করেন। নারী সমাজের উন্নয়নে আওয়ামী লীগ সরকার ১৯৯৭ সালে সর্বপ্রথম জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি ঘোষণা করেন।