হাওর বাংলা ডেস্ক : পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান যে ‘ব্রিটিশ নাগরিক তা তিনি প্রমাণ করেছেন’।
রোববার জাতীয় সংসদে বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি বলেন, “লন্ডন সফরকালে আমি বলেছিলাম, তারেক রহমান বাংলাদেশের নাগরিকত্ব সারেন্ডার করেছে। আমাকে চ্যালেঞ্জ করে বিএনপি তথ্য প্রমাণ চেয়েছিল। আমার ইচ্ছা ছিল না কিন্তু বাধ্য হয়েছিলাম তাদের সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণে।”
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, “কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে সাপ বের হয়েছে। তারেক রহমান ব্রিটিশ নাগরিক হিসেবে সে দেশে কোম্পানি খুলে তার পরিচালক হয়েছে। আমি প্রমাণ করে দিয়েছি, বাংলাদেশ সরকার প্রমাণ করে দিয়েছে, তারেক রহমান বিদেশে নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছে।”
তিনি বলেন, “ব্রিটিশ সরকারের কোম্পানিজ-হাউস ওয়েবসাইটে তারেক রহমান লিখে সার্চ দিলে হোয়াইট অ্যান্ড ব্লু কনসালটেন্ট লিমিটেড (ব্রিটিশ কোম্পানি রেজিস্ট্রেশন নম্বর-০৯৬৬৫৭৫০) নামের একটি নতুন চালু হওয়া কোম্পানির নাম পাওয়া যাবে। কোম্পানিটি সক্রিয়, এই কোম্পানির তারেক রহমান পরিচালক বলা হয়েছে। ২০১৫ সালের জুলাইয়ে কোম্পানিটি প্রথম গঠনকালে তার জাতীয়তা বলা হয়েছে ব্রিটিশ। তার চার মাস পরে পরিবর্তন করে বলা হয়েছে বাংলাদেশি।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান
“এই থেকে আমরা যদি ধারণা করে নেই যে, হয়তবা ডুয়েল সিটিজেনে আছে। তার কাছে বাংলাদেশের পাসপোর্ট নেই। খুব স্বাভাবিকভাবেই তার কাছে যদি ব্রিটিশ পাসপোর্ট থাকে এবং ব্রিটিশ নাগরিক হিসেবে যদি কোম্পানি রেজিট্রেশন করে থাকে তাকে অবশ্যই আমরা বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে চিহ্নিত করতে পারি না।”
আরও অনেক তথ্য থাকলেও ‘সময়ের অভাবে’ বলতে পারছেন না উল্লেখ করে শাহরিয়ার আলম বলেন, “মার্কিন দুতাবাস একটি তার বার্তায় বলেছিল, তারেক রহমানের প্রকাশ্য দুর্নীতি মার্কিন সরকারের তিনটি লক্ষ্যকে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, উন্নয়ন ও জঙ্গিবাদ নির্মূল করার মিশনকে প্রচণ্ড হুমকির সম্মুখীন করেছে। আইনের প্রতি তার প্রকাশ্য অশ্রদ্ধা বাংলাদেশের জঙ্গিদের মূলশক্তি করতে সহায়তা করেছে।”
এর আগে বাজেট আলোচনায় প্রতিমন্ত্রী বলেন, “সরকারের নানা উন্নয়নের পরও কিছু চক্রান্ত আমাদের সমস্যার মধ্যে ফেলে দেয়। বাজেট বক্তৃতার পরে অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য অপপ্রচার করে, ভিডিও এডিট করে প্রবাসীদের মাঝে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা হয়েছে।
“বলা হয়েছিল প্রবাসীদের আয়ের ওপর নাকি ট্যাক্স নির্ধারণ করা হয়েছে, ভ্যাট নির্ধারণ করা হয়েছে। এটা একেবারেই একটি মিথ্যাচার। বরং প্রবাসীরা তাদের অর্থ কীভাবে কম
খরচে ও সহজে দেশে পাঠাতে পারে সেই ব্যবস্থা করে যাচ্ছে সরকার।”